এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অনুব্রত গড়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, জোর শোরগোল রাজ্যে

অনুব্রত গড়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, জোর শোরগোল রাজ্যে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন যতই সামনে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে ততই রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক হিংসা – বিদ্বেষ – সংঘর্ষ ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা মাঝেমাঝেই রণক্ষেত্রের রূপ নিচ্ছে। আবার অনেকসময় রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে কোন রাজনৈতিক দলের মধ্যে তুমুল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকেও দেখা দিচ্ছে মারামারি, বোমাবাজি, খুনোখুনির মতো ঘটনা।

প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার নানুরে গতকাল রাত থেকে বেশ কয়েকবার শাসকদল তৃণমূল বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটতে দেখা গেল। ইতিপূর্বেও বারবার রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘটতে দেখা গিয়েছে নানুরে। মূলত বাম সরকারের সময় থেকেই একাধিক রাজনৈতিক সংঘর্ষের স্বাক্ষী এই নানুর। গতকাল বিজেপি করার অপরাধে বেশ কিছু বিজেপি কর্মীর উপরে অকস্মাৎ চড়াও হয় বেশ কিছু তৃণমূল সদস্য। এরপর তাদের প্রচন্ড ভাবে মারধর করা হয়েছিল বলে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, দুজন তৃণমূল কর্মীর উপরে প্রথমে মারধর ও হেনস্থা করেছিল বিজেপি। যা থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত। এই ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে আরম্ভ করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল রাতে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে প্রচন্ড মারামারি, হাতাহাতি লক্ষ করা যায়। কয়েকদফায় তাদের মধ্যে চলে এই সংঘর্ষ। দুই দলের এই তীব্র হানাহানির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। শেষপর্যন্ত পুলিশের প্রচেষ্টায় এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আজ শুক্রবার সকালে এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ বিজেপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সমস্ত ঘটনাই ঘটেছে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব থেকে।

অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে তৃণমূলের তীব্র গোষ্ঠী সংঘর্ষে দেখা দিলো। প্রথমে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে শুরু হয় বচসা। তারপর তাদের মধ্যে ক্রমাগত মারামারি-হাতাহাতি শুরু হয়। তারপর তাদের মধ্যে শুরু হয় বোমাবাজি। দু পক্ষের এই বোমাবাজিতে প্রাণ হারান একজন কিশোর ও দুজন স্থানীয় বাসিন্দা। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের পারিবারিক বিবাদের কারণে এরকম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপি কর্মীরা তাদের দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বোমা নিক্ষেপ করেছিল। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্বের কথা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে শাসকদল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!