এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অনুব্রতর নজর এবার এই কংগ্রেস গড়ে, বুথস্তরে জোর দিল তৃণমূল।বাড়ছে জল্পনা !

অনুব্রতর নজর এবার এই কংগ্রেস গড়ে, বুথস্তরে জোর দিল তৃণমূল।বাড়ছে জল্পনা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনে এগিয়ে আসছে আসন্ন ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন। এই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ হিসেবে যেমন দেখছে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি, তেমনি রাজ্যে নিজেদের শাসন ক্ষমতাকে ধরে রাখতে মরিয়া পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। শাসক ও বিরোধী দল সকলের মধ্যেই চলছে আসন্ন নির্বাচনে আগাম প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় তৃণমূলের জয়ের ধারাকে অব্যাহত রাখতে দিনরাত এক করে দিচ্ছেন। জেলার প্রতিটি বুথ ধরে ধরে বুথ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে চলেছেন তিনি।

গত রবিবার থেকে বীরভূম জেলার তারাপীঠ সংলগ্ন কড়কড়িয়া জয়তারা বিদ্যাপীঠে জেলার হাঁসন বিধানসভার অন্তর্গত রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির ৯টি অঞ্চলের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন শুরু হলো। এর মধ্যে গত রবিবার হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কালুহা, বুধিগ্রাম, মাড়গ্রাম ২ অঞ্চলে বুথ কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যে সম্মেলনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর নির্দেশে সংশ্লিষ্ট তিনটি অঞ্চলের প্রতিটি বুথের প্রায় সমস্ত তৃণমূল কর্মী সদস্যরা সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত গত ২০১৬ এর বিধানসভা ভোটে হাঁসনে তৃণমূল পরাস্ত হয়েছিল, জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু পরবর্তী ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে হাসনে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল। ৩০ হাজারের কাছাকাছি ভোট নিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। লোকসভা নির্বাচনের এই জয়ের ধারাকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ধরে রাখার নির্দেশ দিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। এর জন্য প্রয়োজন পড়লে বিরোধী নেতাদেরও তৃণমূল ভুক্ত করার বার্তা দিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনস্থ কালুহা, বুধিগ্রাম এবং মাড়গ্রাম ২ এই তিনটি অঞ্চলের তৃণমূল এগিয়ে যায়। তবে, এই অঞ্চলগুলির বেশ কিছু বুথে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল, এগিয়ে গিয়েছিল বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস। আবার কোন কোন বুথে জোর টক্কর হয়েছিল তৃণমূলের। গত রবিবারের কর্মী সম্মেলনে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বুথ সভাপতিদের নির্দেশ দিলেন যে, যে সমস্ত বুথে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে জয়ের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। সেই সঙ্গে চেষ্টা করতে হবে লিড বাড়াতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে যে সমস্ত বুথে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস জয়লাভ করেছে, কিংবা ভালো ফল করেছে, সেই সমস্ত বুথে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের তৃণমূল দলভুক্ত করে তৃণমূল দলের লিড বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন সংশ্লিষ্ট বুথ সভাপতিদের জেলা সভাপতি। এ প্রসঙ্গে তিনি তৃণমূল কর্মীদের নির্দেশ দিলেন, ‘‘ কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএম উন্নয়ন করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৬৬টি প্রকল্পের সুবিধা প্রায় প্রতিটি মানুষ পেয়েছেন। উন্নয়নের দাবিদার হিসাবে আপনারা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইবেন।’’

গত রবিবারের এই কর্মী সম্মেলনে বুধিগ্রাম পঞ্চায়েতের দিয়াড়া গ্রামের বুথ সভাপতি শুভেন্দু মণ্ডল জানালেন যে, গত লোকসভা ভোটে এই গ্রামের রাস্তা পাকা না হওয়ার জন্য ২০১ ভোটে বিজেপির কাছে পিছিয়ে যায় তৃণমূল। বুথ সভাপতি শুভেন্দু মণ্ডলের এই অভিযোগের প্রত্যুত্বরে তৃণমূল জেলা সভাপতির বক্তব্য, ” বিজেপি ওই বুথে এগিয়ে আছে। বিজেপি কি রাস্তা করে দিয়েছে? আমরা উন্নয়ন করব অথচ ভোট পাব তা তো হয় না। আমি শুধুই দিয়েই যাবো বিনিময়ে কিছু পাবো না তা তো হয় না।’’

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতামত, আগামী বিধানসভা নির্বাচন অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে শাসকদল তৃণমূলের কাছে। একারণেই জয়ের অব্যাহত রাখতে শাসকদলের উন্নয়ন মূলক কাজকর্মের প্রচারের পাশাপাশি, অন্যদলের নেতাকর্মীদের তৃণমূল দলে ধরে আনার নিদান জেলা সভাপতির। আগামী নির্বাচনের কঠিন লড়াইয়ের যা স্পষ্ট ইঙ্গিতবাহী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!