এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল নেতাদের আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন স্বয়ং অনুব্রতও? প্রকাশ্য সভার ঘটনা ঘিরে প্রশ্ন দলেই

তৃণমূল নেতাদের আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন স্বয়ং অনুব্রতও? প্রকাশ্য সভার ঘটনা ঘিরে প্রশ্ন দলেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তবে কি ফিকে হয়ে গেছে অনুব্রত ম্যাজিক? দলের নেতা-কর্মীরা কি আর আগের মতো ভয় পাচ্ছেন না দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই জেলা সভাপতিকে? যে জেলা সভাপতির হুকুম ছাড়া একটা সময় পাতা পড়তো না, এবার সেই জেলা সভাপতির সামনেই বুথ সভাপতি সংশ্লিষ্ট ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে যখন নির্বাচনে পরাজয়ের অভিযোগ তুললেন, তখন সেই বুথ সভাপতিকে সভামঞ্চ থেকে বের করে দেয়া হলো। এরপর সংশ্লিষ্ট গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান যখন সেই বুথ সভাপতির হয়ে কথা বলতে গেলেন।

তখন শুরু হলো প্রবল হট্টগোল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কার্যত ঘাম ছুটে গেল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। এর গন্ডগোলের মাঝেই সভাস্থল ত্যাগ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই ঘটনায় ছড়ালো ব্যাপক গুঞ্জন উঠে এলো একাধিক প্রশ্ন। প্রসঙ্গত আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন যে পূর্বের পূর্বের ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের মত সরল হবার নয়, তা অস্বীকার করার উপায় নেই শাসক দল তৃণমূলের। কারণ, ঘাড়ে নিঃস্বাস ফেলছে বিজেপি। আর এ কারণেই আগামী নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে শাসকদল।

বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই। প্রতিদিনই তিনি এক বা একাধিক বুথের তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে বুথ ভিত্তিক কর্মীসভার আয়োজন করছেন। গত বুধবার হাতোরা, মাঠপলসা, বনগ্রাম অঞ্চলের বুথ কর্মীদের নিয়ে এমন কর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছিল। গত বুধবার সাঁইথিয়া হাইস্কুল প্রাঙ্গণে তৃণমূলের এই বুথ ভিত্তিক কর্মী সভা আয়োজিত হয়।

গত বুধবারের এই কর্মীসভায় পূর্ববর্তী ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের খারাপ হবার কারণ সম্পর্কে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জিজ্ঞাসা করলে, বনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪২ নম্বর বুথ বা মারকোলা গ্রামের বুথ সভাপতি শান্ত মন্ডল জানালেন যে, সাঁইথিয়া ব্লকের ব্লক সভাপতি সাবের আলী খানের কারণেই গত নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিল তৃণমূল। এরপর তিনি ব্লক সভাপতি সাবেক আলী খানের বিরুদ্ধে আরও কিছু বলতে চাইলে, ব্লক সভাপতির অনুগামীরা প্রচন্ড হট্টগোল শুরু করে ও বুথ সভাপতি শান্ত মন্ডলকে জোর করে থেকে বের করে দেয় সভা স্থল থেকে। এরপর তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে প্রচণ্ড বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বুথ সভাপতি শান্ত মন্ডলকে এভাবে সভা থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হলেন বনগান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তুষার মন্ডল। তিনি সভায় উপস্থিত তৃণমূল দলের একাধিক নেতা-নেত্রী ও কর্মীদের সামনে তাঁকে এভাবে সভা থেকে বের করে দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। এরপর তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা, গন্ডগোল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এই বিশৃংখল অবস্থার মধ্যে সভাস্থল পরিত্যাগ করে চলে গেলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

এলাকার বেশ কিছু তৃণমূল নেতার প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি শেষপর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসে। সেদিনের এই ঘটনা সম্পর্কে গণমাধ্যমের সামনে তৃণমূল দলের কোন নেতাই তেমন কোনো বিবৃতি রাখেননি। তবে, সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সাবের আলী খান এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ” কোথাও কোনো রকম হই হট্টগোল হয়নি। হাতের পাঁচটা আঙ্গুল আলাদা হওয়ায় অভাব-অভিযোগ থাকতে পারে। আমরা সেই সব অভাব অভিযোগ জেলা সভাপতির নেতৃত্বে মিটিয়ে নেবো।”

শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে একাধিকবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। তবে বীরভূম জেলা সভাপতি দলের গোষ্ঠী কোন্দলকে অনেকটাই দাবিয়ে রাখতে পেরেছিলেন।তাঁর ভয়েই দলের নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলতেন সকলেই এতদিন। কিন্তু এবারে জেলা সভাপতির সামনেই দলীয় কর্মীদের মধ্যে এই গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনায় অনেকেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন যে, তাহলে কি জেলা সভাপতিকে আর আগের মতো ভয় পাচ্ছেন না দলের নেতা-কর্মীরা? তবে কি তাঁর প্রভাব দলে ফিকে হতে শুরু করেছে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!