এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আপাতশান্ত দিল্লি, তবে অশান্তির ভয়ে দেশের সর্বত্র সাবধানবাণী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

আপাতশান্ত দিল্লি, তবে অশান্তির ভয়ে দেশের সর্বত্র সাবধানবাণী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের


জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরেই দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ চলছে। তাতে একাধিক মানুষ প্রাণও হারিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন রাজ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই, কিন্তু তা সত্বেও প্রতিবাদ থামেনি। বিশেষত রাজধানীর বুকে গত কয়েক দিন যাবত যেভাবে রক্ত ঝরল, তা সত্যিই ভয়াবহ। এমনিতেই শাহীনবাগের আন্দোলন কেন্দ্রীয় সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে রেখেছিল। সেই জট খোলার আগেই নতুন করে রাজধানী দিল্লিতে যে হিংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো, তা নিয়ে সারাদেশ রীতিমতো আতঙ্কিত।

গত রবিবার থেকে শুরু হয় নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির সমর্থক এবং বিরোধীদের মধ্যে তীব্র হানাহানি। রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় দিল্লিতেই। অবস্থা আয়ত্তে আনতে পুলিশ ও আধা সেনাবাহিনী পথে নামে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি পুরোপুরি আয়ত্তে আসেনা। তবে এই মুহূর্তে দিল্লির অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল। তবে পরিস্থিতি এখনো অস্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গেছে। দিল্লি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যে 34 জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত প্রায় দুই শতাধিক। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেশের সমস্ত রাজ্যের পুলিশকে একটি সতর্ক বার্তার মাধ্যমে সাবধান থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে বেশকিছু রাজ্যকে বিশেষ সতর্কবার্তা প্রদান করা হলেও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সাধারণ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। নবান্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সতর্কবার্তা ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী ইতিমধ্যে রাজ্য কলকাতা পুলিশ সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক নেতারা যেন কোন মতেই কোনরকম উস্কানিমূলক মন্তব্য না করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাতে কোনরকম গুজব না ছড়ানো হয় এবং স্পর্শকাতর এলাকা গুলির উপর বিশেষ নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যাচ্ছে, উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে। সেখানে সংঘর্ষের জেরে মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির মানুষকে শান্ত থাকার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন আগেই। তবে তিনি দাবি করেছেন, এই সাম্প্রদায়িক হিংসার পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে বহিরাগতরা। তবে এদিন জানা গেছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অশান্ত প্রবণ এলাকাগুলি ঘুরে দেখবেন। অন্যদিকে নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গেছে, নিহতরা দু লক্ষ টাকা সরকারি ক্ষতিপূরণ পাবে এবং আহতদের 50 হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। অন্যদিকে দিল্লি হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যে মত প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

সম্প্রতি দিল্লির পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে 144 ধারা জারি করা হলেও পরিস্থিতি কোন মতই নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। অন্যদিকে ভয়াবহতার স্পষ্ট ছবি ধরা পড়ছিল সংবাদমাধ্যমে। অবস্থা সামাল দিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দফায় দফায় উচ্চস্তরের বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। তবে দিল্লির সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ঘিরে যে অশান্তির আগুন জ্বলে উঠলো সে কথা মাথায় রেখে এবার কেন্দ্রীয় মহলের উচিত এ ব্যাপারে আলোকপাত করা। সম্পূর্ণ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!