এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আপের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ব্রাত্য মমতা, প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ, অন্য আশংকায় রাজনৈতিক মহল

আপের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ব্রাত্য মমতা, প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ, অন্য আশংকায় রাজনৈতিক মহল


আর একদিন পরেই রবিবার রামলীলা ময়দানেই জনতার মাঝখানে থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলে খবর।   দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টি বিরোধী দল বিজেপি ধরাশায়ী করেছে বিপুল ভোটে। দিল্লিতে উন্নয়নের ডঙ্কা বাজিয়ে তাঁরা বিপুল ভোট সংগ্রহ করেছে। এবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের শপথ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্ক। এতদিন পর্যন্ত শোনা গিয়েছিল কেজরিওয়ালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেশের সমস্ত বিরোধী নেতৃত্বরা অংশগ্রহণ করবেন। কিন্তু এখন খবর পাওয়া যাচ্ছে অন্য।

সূত্রের খবর, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত হবেন না কোন বিরোধীদলের নেতা। কেজরিওয়াল এর পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শুধুমাত্র দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এই আমন্ত্রণ খোদ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, আপের উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া জানিয়েছেন, আম আদমি পার্টির চেয়ারম্যান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দিল্লির সমস্ত জনগণ। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা, 16 ই ফেব্রুয়ারি রামলীলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেজরিওয়ালের আমন্ত্রণ পত্র গ্রহণ করে উপস্থিত হবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ। তবে কেজরিওয়ালের এই আচরণ যথেষ্ঠ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে।

অন্যদিকে, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে এই মুহূর্তে জমজমাট দিল্লি। মুহুর্মুহু বৈঠক চলছে আপ বিজেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে। সমস্ত ব্লু-প্রিন্ট সেখানেই ঠিক হচ্ছে। তবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লীর বিদায়ী মন্ত্রী গোপাল রাই এদিন সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘অন্য কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা রাজনৈতিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। এটা শুধুমাত্র দিল্লির মানুষের অনুষ্ঠান হতে চলেছে।’ অবশ্য আগেই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘দিল্লির প্রত্যেক নাগরিক তাঁদের ছেলে এবং ভাইকে আশীর্বাদ করতে আসতে পারেন। তাঁরা প্রত্যেকেই আমন্ত্রিত।’ বোঝাই যাচ্ছে, নির্বাচনের আগে থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত আম আদমি পার্টি পুরোপুরি মনোনিবেশ করেছেন দিল্লির জনগণের দিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে আপের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনন্য নজির হয়ে থাকবে রাজনৈতিক ইতিহাসে। কারণ এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কোনমতেই রাজনৈতিক হবে না। সম্পূর্ণ জনগণের মাঝে হবে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। উপস্থিত হবেন দিল্লির জনগণ। তাঁদের উপস্থিতিতেই হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। অন্যদিকে দিল্লি বিধানসভার ফলাফল প্রকাশের দিন সংবাদমাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খুদে মাফলার ম্যানকে দেখা গিয়েছিল। শপথ গ্রহণের দিন এই ক্ষুদে মাফলার ম্যানও আমন্ত্রণ পেয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আপের তরফের সিদ্ধান্ত রীতিমতো রাজনৈতিক জল্পনা উসকে দিয়েছে।

অন্যদিকে,আপের সিদ্ধান্তকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা, তাহলে কি এবার অন্য সমীকরণ তৈরি হতে চলেছে দিল্লির বিজেপি এবং আম আদমি পার্টির মধ্যে ? অন্তত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য যে স্ট্যান্ড আপ গ্রহণ করেছে তাতে তো তাই মনে হচ্ছে বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। অন্যদিকে 16 ই ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী রামলীলা ময়দানে উপস্থিত হবেন কিনা সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোন ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে, আপ-এর তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র শিষ্টাচার বজায় রাখার জন্যই অরবিন্দ কেজরীওয়াল প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আপাতত দিল্লির রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে, সেদিকে লক্ষ্য রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!