এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “আপনি পা ভেঙেছেন। জঙ্গলমহলের মানুষ গণতান্ত্রিকভাবে আপনাদের মাজা ভাঙবে।” – বিজেপিকে হুঁশিয়ারি অভিষেকের

“আপনি পা ভেঙেছেন। জঙ্গলমহলের মানুষ গণতান্ত্রিকভাবে আপনাদের মাজা ভাঙবে।” – বিজেপিকে হুঁশিয়ারি অভিষেকের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ১০ ই মার্চ নন্দীগ্রামে প্রচারের সময় পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি চক্রান্ত করে হামলা করেছে মুখ্যমন্ত্রীর উপরে। এবার এই ইস্যুতে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ ও হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতৃত্বকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানান যে, মুখ্যমন্ত্রীর পা ভেঙেছে বিজেপি, এবার জঙ্গল মহলের মানুষ গণতান্ত্রিকভাবে মাজা ভাঙ্গবে বিজেপির। বিজেপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি জানালেন যে, বহিরাগতদের বাংলায় ঠাই হবে না। বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। জয় হিন্দ, জয় বাংলা স্লোগান দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, বিজেপি নেতারা পশ্চিমবঙ্গে সভা করতে আসছেন। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয় প্রমুখরা আসছেন। বিজেপি নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি জানালেন যে, তাঁরা দুমিনিট যদি বাংলায় কথা বলে দেখাতে পারেন, তবে এক ঘণ্টা তিনি বক্তব্য রাখবেন ইংরেজিতে। তিনি জানালেন দেশের যে প্রান্তে দাঁড়িয়ে তাঁকে হিন্দি বলতে বলা হবে, কাগজ ছাড়াই সেখানে তিনি বক্তৃতা দিতে পারবেন।

কিন্তু বিজেপির অভিজ্ঞ নেতারা বাংলায় ২ মিনিটও বক্তব্য রাখতে পারেন না। তিনি জানান, বিজেপি সোনার বাংলা বলতে পারছে না, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিন্ডি চটকে দিয়েছে। তিনি জানালেন কবিগুরু যদি এখন সকলের মাঝে থাকতেন, তাহলে লজ্জায় মাথা রাখার জায়গা পেতেন না। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করবার লড়াই নয়, বহিরাগতদের বাংলা থেকে বিতারিত করার লড়াই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানালেন, ১০-০ গোলে যদি পরাস্ত করতে না পারেন, তবে রাজনীতি থেকে তিনি অবসর নেবেন। ৭৫ হাজার কোটি টাকা বছরে বাংলা থেকে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি, আর বড় বড় ভাষণ দেয়া হচ্ছে। তাঁর গলা কেটে দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বলবেন তিনি। বিজেপির এজেন্সি কাঁচকলা করেছে। আগামী দিনেও তাইই করবে। বাংলার মান সম্মান কখোনই বিক্রি হতে দেবেন না তিনি। যা করার করে নিতে বললেন তিনি। বহিরাগতদের তিনি বাংলা থেকে বিতরণ করবেন বলে জানালেন। আগামী নির্বাচনে বাংলার মানুষ দেখিয়ে দেবে বিজেপিকে। ২ রা মে পদ্মফুল চোখে সর্ষেফুল দেখবে।

জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন করলেন যে, করোনা সংক্রমণ কালে বিজেপি সাংসদ কুনর হেমব্রমকে কি তারা পাশে পেয়েছেন? তিনি জানালেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়ির লোক স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছে। পুরুলিয়ার সাংসদের পরিবারও স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করেছে। পাকা বাড়ি, স্মার্ট ফোন, ফ্রিজ থাকলে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায় না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যসাথী ছোট থেকে বড়, শ্রমিক থেকে কৃষক, কোচবিহার থেকে জঙ্গলমহল সকলের জন্য। সকলকে বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়। এরপর থেকে শুরু হবে দুয়ারে রেশন। রেশন আনতে আর দোকানে যাবার প্রয়োজন হবে না।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!