আপনার ফুসফুসে কি ক্যান্সার থাবা বসাচ্ছে? বড় কিছু হওয়ার আগেই কি করে নিজে থেকেই বুঝতে পারবেন? অন্যান্য August 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি চারদিকে চলছে করোনা আবহের পরিবেশ, তাই করোনার বাইরে আমরা কিছুই যেন ভাবতে পারছিনা। সারাক্ষণ খালি আমরা কোন ভাবে যেন করোনা আক্রান্ত না হই, সেই চিন্তাই আমরা করে চলেছি। ফলে মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার এগুলোই সঙ্গী হয়েছে আমাদের নিত্যদিনের জীবনের। তবে করোনা উপসর্গের সঙ্গে মিল আছে এমন একটি মারণ রোগের শিকার হচ্ছেন না তো আপনি? পাছে করোনা হয়েছে বলে চিন্তা করেছেন, অথচ আপনার শরীর জুড়ে বসে আছে অন্য ঘাতক রোগ? সম্প্রতি সঞ্জয় দত্তের ক্যান্সার ধরা পড়ার পর নজরে এসেছে বিষয়টি। ব্যাপার হচ্ছে করোনার সঙ্গে ফুসফুসের ক্যান্সারের উপসর্গের মিল রয়েছে কিছু। যে কারণেই সঞ্জয় দত্তের করোনা হয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে ধরা পড়ে ফুসফুসের ক্যান্সার। এই পরিস্থিতিতে জেনে নেওয়া যাক ফুসফুসের ক্যান্সার সম্পর্কে। ডাক্তারী ব্যাখ্যায় ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে ধুমাপনকে চিহ্নিত করা হয়। এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে আপনার চেনা এমন অনেক মানুষ রয়েছেন হয়ত, যারা ধূমপান করলেও আজীবন ক্যান্সারের ঝুঁকি ছাড়াই বেঁচেছেন। তবে সেক্ষেত্রে পরিবেশের দূষিত ধোঁয়া ও বাতাসে মিশে থাকা রাসায়ানিক-এর প্রভাবেও ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে বলেই দাবি করেন চিকিৎসকেরা। তবে বংশগত কারণেও ফুসফুসের ক্যান্সার হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ফুসফুসের ক্যান্সারের মূলত ৪ টি স্টেজ থাকে– * স্টেজ১- এক্ষেত্রে ক্যান্সার ফুসফুসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। * স্টেজ২- এক্ষেত্রে সংক্রমণ ফুসফুসের ভিতরের দেওয়ালর ছড়িয়ে পড়ে। * স্টেজ৩- এক্ষেত্রে ফুসফুসের বাইরের দেওয়ালে সংক্রমণ ছড়ায়। * স্টেজ৪- এই পর্যায় ফুসফুস সহ দেহের অন্যান্য অংশেও সংক্রমণ ছড়ায়। এই স্তরটি-কে ক্যান্সারের শেষ পর্যায় বলা হয়। তবে কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখেও বোঝা যায় আপনার শরীরে এই মারণ রোগের প্রকোপ পড়েছে কিনা। সেক্ষেত্রে উপসর্গগুলো হলো— ১)কাশি শুরু হলে থামতে না চাওয়া। সঙ্গে হাল্কা হলেও রক্ত আসা। ২) বুকে অনেকদিন থেকে ব্যাথা অনুভব করা। ৩) শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। ৪) খাবার গিলতে অসুবিধে হওয়া। ৫) গলা ধরে যাওয়া বা এক নাগাড়ে কথা বলতে কষ্ট হওয়া। ৬) ওজন কমে যাওয়া, খিদে না পাওয়া। ৭) বারবার সর্দি কাশি হওয়া বা ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়া। ডাক্তারদের মতে বেশভাগ মানুষ এই বিষয়গুলিকে পাত্তা দেন না। ফলে যখন চিকিৎসা করাতে আসেন তখন অনেকটাই দেরি হলে যায়। তাই অবহেলা না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াটাই আগে প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে বায়োপসি করার পর কেমো থেরাপি বা রেডিয়েশনের মাধ্যমে এর চিকিৎসা করালে সমস্যা কমতে পারে। তাই শারীরিক সমস্যা অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজে সুস্থ থাকুন,পরিবারকেও নিরাপদে রাখুন। আপনার মতামত জানান -