এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > আর মাত্র কিছু সময়, তারপরেই দুশো আসন পেয়ে পরিবর্তনের ডাক বিজেপির

আর মাত্র কিছু সময়, তারপরেই দুশো আসন পেয়ে পরিবর্তনের ডাক বিজেপির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 বাংলার জন্য অন্যতম একটি বছর। রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন শেষ হয়েছে সম্প্রতি। আর এবার পালা গণনার। রাত পোহালেই শুরু হবে ভোট গণনা। রাজ্যের প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবারের নির্বাচন জিততে মরিয়া দেখা গিয়েছে। তবে সব থেকে বেশি প্রতিযোগী হিসেবে নিজেদেরকে সামনে এনেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। রাজ্যজুড়ে এবার 8 দফা নির্বাচন হয়েছে যা সাম্প্রতিককালের রেকর্ড। 8 দফা ভোটের শেষে বুথ ফেরত সমীক্ষা কিন্তু বেশিরভাগ জায়গায় এগিয়ে রাখা হয়েছে তৃণমূলকে। কিন্তু তাতে গেরুয়া শিবির মোটেই হতাশ হয়নি বরং গেরুয়া শিবিরের নেতারা জোর গলায় দাবি করছে, দুশোর কাছাকাছি আসন পেয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করবে বঙ্গ বিজেপি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ম্যাজিক চালিয়েছেন বাংলা জুড়ে, তার ফল ফলবেই বলে দাবী বঙ্গ বিজেপির। প্রধানত এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর কোন মুখ ছিলনা বিজেপির পক্ষ থেকে। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদির মুখ সামনে রেখেই লোকসভার ন্যায় বিধানসভার লড়াই হয়েছে। ভোট পর্ব শেষে আগামীকাল ফলাফল। আর সেখানেই রাজ্য বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন, দুশোর কাছাকাছি আসন পাবে দল। শেষ পর্যন্ত বুথ ফেরত সমীক্ষা থেকে আসা রিপোর্ট অনুযায়ী বলা হচ্ছে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছিলেন রাজ্যে 23 টি আসন পাবে বিজেপি।

দাবী অনেকটাই মিলে গিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনে 18 টি আসন পায় বিজেপি বাংলায়। যা পরবর্তীতে বিজেপিকে ব্যাপক শক্তি যুগিয়েছে বাংলায়। লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলায় 17 টি জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে 20 জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে। তাই নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে জনসভা হয়েছে, তাতে প্রশ্নও উঠেছে অনেক। শেষ বেলায় অবশ্য প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল সভা করেন। বলা হচ্ছে, তামিলনাড়ু আসাম কিংবা কেরলের ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী এত সভা করেননি যতটা বাংলার জন্য করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নবান্ন অভিযানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ফেব্রুয়ারীতে বাংলায় এসেছিলেন। আর তারপর থেকে মোদী অন্তত কুড়িটি সভা করেছেন সরকারী ও দলীয় সভা মিলিয়ে। নির্বাচনী সফর শুরু হওয়ার পর টানা আঠারোটি জনসভা করেছেন মোদি। মোদির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ছাড়াও বিজেপির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা মন্ত্রীরা মিলে প্রায় 100 টি সভা করেছে এই বাংলায়। তবে বিতর্কও হয়েছে এগুলি নিয়ে। অনেকক্ষেত্রেই সভায় লোক হয়নি বলে সভা বাতিল করতে হয়েছে বিজেপি নেতাদের বলে দাবী বিরোধীদের।

তবে বিজেপির দাবি, তাঁদের পরিশ্রমের ফল ভোটবাক্সে অবশ্যই পড়েছে। মানুষ বিজেপির ওপর আস্থা রেখেছে এবং তার প্রমাণ পাওয়া যাবে আগামীকাল। এবারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঠিক সেভাবেই 90% বুথের সংগঠন গড়ে তুলেছে বিজেপি। সেটাও জেতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। দলের একাধিক শীর্ষ নেতা বুথে বুথে গিয়ে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ গড়ে তুলেছে। এমনকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেউ দেখা গিয়েছে ভবানীপুরে বাড়ি বাড়ি ঘুরে লিফলেট বিলি করেছেন।

অবশ্য প্রচারে গিয়ে অনেককে বিক্ষোভের মুখেও পড়তে দেখা গেছে। পাশাপাশি দলের শক্তিশালী আই টি সেল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিজেপিকে পৌঁছে দিয়েছে ঘরে ঘরে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, দুশোর কাছাকাছি আসন পেয়ে পরিবর্তনের সরকার গড়বে বিজেপি। এখন দেখার, বাংলার মানুষ কি চাইছে? পরিবর্তন না প্রত্যাবর্তন? বিজেপির দাবি যদি পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়ে তাহলে কিন্তু আগামীদিনে বাংলায় ঘুরে দাঁড়াতে বিজেপিকে নতুন করে লড়াই শুরু করতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!