এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আর নয় হতাশা, ছন্নছাড়া হয়ে পড়া দলকে প্রাণবন্ত করে তুলতে একের পর এক পরিকল্পনা বঙ্গ বিজেপির

আর নয় হতাশা, ছন্নছাড়া হয়ে পড়া দলকে প্রাণবন্ত করে তুলতে একের পর এক পরিকল্পনা বঙ্গ বিজেপির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ২০০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখে বিধানসভা নির্বাচনে জোরদার লড়াই করেছিল বিজেপি। তবে, লক্ষ্য পূরণ হয়নি, মাত্র ৭৭টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। আর নির্বাচনে পরাজয়ের পর হতাশা, বিরোধ, অন্তর্দ্বন্দ্ব, বিতর্ক সর্বোপরি দলের ভাঙ্গন ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছে রাজ্য বিজেপিকে। তৃণমূল থেকে আসা বহু নেতাকর্মীরা আবার ঘাসফুলের পথে পা বাড়িয়েছেন। দলের একাধিক নেতা দলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে দলকে আবার প্রাণবন্ত করে তুলতে বিশেষ কর্মসূচি নিচ্ছে রাজ্য বিজেপি।

বিধানসভা ভোটের পর অনেকটাই ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। বহু নেতাকর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে গেছেন। আবার, অনেকে দলের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছেন। ভোট-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত দলের বহু কর্মী। এই পরিস্থিতিতে দলকে আবার প্রাণবন্ত করে তুলতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিজেপি। চলতি মাসেই তিনটি রাজনৈতিক যাত্রার পরিকল্পনা করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সংসদের অধিবেশন শেষ হবার পর একাধিক বিজেপি সংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা আসতে পারেন রাজ্যে। দলের কাছে দিতে পারেন নানা ভোকাল টনিক। আবার রাজ্যে আটকে থাকা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের গতি বাড়াতে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক রাজ্য বিজেপির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল রাতে দিল্লির কনস্টিটিউশনাল ক্লাবে রাজ্য বিজেপির একটি বৈঠক ছিল। যে বৈঠকে যোগদান করেছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিত মালব্য, শিব প্রকাশ, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। এই বৈঠকে একটি প্রস্তাব করা হয়েছিল, যা হলো সদ্য মন্ত্রিসভায় আসা রাজ্য বিজেপির চার সংসদকে সংবর্ধনা দেয়া। যদিও এই প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। গতকালের বৈঠকে স্থির করা হয়েছে যে, ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপির যেসব কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে দল। তাদের বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করবেন নেতারা।

তাদের পাশে থাকার বার্তা দেবে সারা। রাজ্য জুড়েই এই কর্মসূচি নেয়া হবে। কবে? কোথায়? এই কর্মসূচি পালন করা হবে, তার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে। গতকাল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মানদবিয়ার সঙ্গে রাজ্য বিজেপি সাংসদের বৈঠক চলে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে রাজ্য বিজেপির। গতকাল দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্য বিজেপি সাংসদদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে, বিশেষ কারণবশত গতকাল বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। তবে, এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, তিনি আশা করছেন দু-এক দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সাড়া পাবেন তাঁরা।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আরও জানিয়েছেন যে, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল কলেজগুলোতে অলচিকি হরফের শিক্ষকের অভাব রয়েছে। সেই অভাব পূরণ করতে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন তাঁরা কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে। তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের পাঠানো করোনা ভ্যাকসিন কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। কোল ইন্ডিয়ার মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গুলির হাসপাতালগুলিতে টিকাকরণ কেন্দ্র খোলার আবেদন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে।

তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক রং দেখে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁকে। আবার সড়ক পরিবহন, গ্রামোন্নয়ন, রেল মন্ত্রীদের সঙ্গেও দেখা করতে চলেছেন রাজ্য বিজেপির সাংসদেরা। এভাবেই, ভোটে পরাজয়ের পর ছন্নছাড়া হয়ে যাওয়া দলকে ঐক্যবদ্ধ, প্রাণবন্ত করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। এরসাথেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পর গতি বৃদ্ধি করতেও বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!