এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে মোদীর উপস্থিতি 9 মিনিট! বিস্ফোরক তথ্য পেশ করে সরব তৃণমূল!

আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে মোদীর উপস্থিতি 9 মিনিট! বিস্ফোরক তথ্য পেশ করে সরব তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর পক্ষ থেকে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। যে বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীও। কিন্তু বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হলেও, তার সেই বৈঠকে অংশগ্রহণের সময় নিয়েই এখন তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ইতিমধ্যেই এই সর্বদলীয় বৈঠকের পর তার একটি ছবি ট্যুইট করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তবে প্রধানমন্ত্রী সেই ছবিটি পোস্ট করার পরেই ঠিক কত সময় সেখানে ছিলেন নরেন্দ্র মোদী, সেই ব্যাপারে বিস্ফোরক তথ্য পেশ করে পাল্টা সরব হতে দেখা গেল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। যেখানে মোদীর বৈঠকে থাকা সময়সীমার কথা তুলে ধরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট সাংসদ। যার জেরে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে গেল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার এই সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় 2 ঘন্টা 40 মিনিট ধরে বৈঠক হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু সেখানে নরেন্দ্র মোদী মাত্র 9 মিনিট উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। এদিন এই তৃণমূল সাংসদ একটি টুইট করে লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী স্যার, সত্যিই আপনি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। সংসদের বৈঠক হয়েছে 2 ঘন্টা 40 মিনিট। আর আমরা আপনার সঙ্গলাভ করেছি 9 মিনিটের জন্য। আপনি শুনেছেন তিন মিনিট। আলোকচিত্রী ও ভিডিওগ্রাফাদের সময় দিয়েছেন 2 মিনিট। আর বলেছেন 4 মিনিট।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ এই কথা বলে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকের ছবি টুইট করে যতই নিজেকে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করুন না কেন, আদতে তিনি নামেমাত্র সেই বৈঠকে সময় দিয়েছেন। এক্ষেত্রে বৈঠকে সকলের কথা শোনা তো দূরের কথা, শুধুমাত্র বৈঠকে উপস্থিত হতে হয়, আর সেই কারণে উপস্থিত হয়ে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে তিনি নিজের জনপ্রিয়তা অর্জন করার চেষ্টা করেছেন বলেই পাল্টা ট্যুইটের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করার চেষ্টা করলেন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হলে যে ব্যাপক চাপে পড়বে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একাধিক জনবিরোধী ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে চেপে ধরবে। পেট্রোল থেকে শুরু করে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এমনিতেই সরব হতে শুরু করেছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। যার মধ্যে অন্যতম বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূল সাংসদরা প্রস্তুত হয়ে রয়েছে বাদল অধিবেশনে এই ব্যাপারে সরকারকে চেপে ধরার। কিন্তু তার আগে সেই অধিবেশন শুরু হওয়া নিয়ে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বৈঠকের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়েই এবার বড় প্রশ্ন তুলে দিয়ে শোরগোল ফেলে দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল সাংসদের এই কটাক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির পক্ষ থেকে কি যুক্তি দেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!