‘ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের’ একদা ‘লালদুর্গ’ আরামবাগে কি দাঁড়াল শেষচিত্র? কোথায় দাঁড়িয়ে বিরোধীরা? রাজ্য May 5, 2018 একই ঐতিহ্য আজও প্রবাহিত আরামবাগে। কয়েক বছর আগেও বাম আমলে এই এলাকাটি শাসক দলের চোখ রাঙানি নির্ভর ছিলো। জানা যাচ্ছে বর্তমান সময়েও ছবিটা একই কিন্তু রাজ্যের শাসক দল বদলের সাথে সাথে ঠিক আগের মতো এখানে বিরোধীদের দাপট খর্ব প্রায়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আরামবাগে বিরোধীরা কার্যত নিশ্চিহ্ন। পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ- সর্বত্রই বিরোধী প্রার্থীদের অবলুপ্তি ঘটেছে। উল্লেখ্য মহকুমায় মোট গ্রাম পঞ্চায়েত ৬৩। আসন ৮২৪। এর মধ্যে বামেরা মাত্র গোঘাট-১ ব্লকের শেওড়া পঞ্চায়েতের সাতটি আসনে প্রার্থী মনোনীত করতে পেরেছে। বিজেপি খানাকুল এবং পুরশুড়ার দু’টি পঞ্চায়েতের পাঁচটিতে প্রার্থী মনোনীত করতে পেরেছে। পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে ১৮৫টি আসন যার মধ্যে শুধু বামেরা চারটি আসনে প্রার্থী মনোনীত করেছে। মহকুমায় জেলা পরিষদের আসন ১৬। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে বিরোধীদের সঙ্গে তৃণমূলকে লড়তে হবে মাত্র তিনটি আসনে। সংশ্লিষ্ট এলাকার রাজনৈতিক ইতিহাস লক্ষ্য করলে দেখা যায় ২০০৩ সালের পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরেই বিরোধী প্রার্থী ছিলেন না। ২০০৮-এ বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু বিরোধী প্রার্থী ছিলেন। তার আগে ১৯৮৩-তে অবশ্য আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতি কংগ্রেস দখল করেছিল। ১৯৯৮-এর ভোটে খানাকুল-১ ও ২ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে তৃণমূল। ২০১৩ সালের নির্বাচনে ছবিটা একটু বদলাতে শুরু করে বহু বুথে প্রার্থী মনোনীত করতে পারেনি বাম দল। এই প্রসঙ্গে সিপিএমের আরামবাগ-২ এরিয়া কমিটির সম্পাদক উত্তম সামন্ত বললেন , ”৩৪ বছরের শেষ দিকে মানুষের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব হয়েছিল। তার সঙ্গে অত্যাচারের মিথ্যা কাহিনি বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন। তাই ভয়ে ভোটে দাঁড়াতে দিচ্ছে না।” অন্যদিকে গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদারের পালটা বললেন, ”সিপিএম কতটা অত্যাচারী গোটা আরামবাগ জানে। ওরা ভোট করতেই দেয়নি। আর এখন ওদের হয়ে কেউ ভোটে দাঁড়াতে চান না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এলাকার উন্নয়ন মানুষ খালি চোখেই দেখতে পাচ্ছেন।” ইতিহাসের ধারা অব্যাহত রয়েছে , বদল শুধু শাসকদলের রাজনৈতিক পরিচিতির। আপনার মতামত জানান -