তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরামবাগে,ভাঙচুর থেকে ছড়ালো উত্তেজনা,বসল পুলিশ পিকেট রাজ্য October 8, 2018 যারা এতোদিন প্রতিপক্ষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সমালোচনায় মুখর হত,তাঁদেরই গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে। এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরে আহত হচ্ছেন তৃণমূলের কর্মী সদস্যরাই। নষ্ট হচ্ছে দলীয় ভাবমূর্তি। তীব্র উত্তেজনা ছড়াচ্ছে আক্রান্ত এলাকাগুলোতে। এদিকে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা বারবার লোকসভা ভোটের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দমনের কড়া নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছেন। সেদিকে কর্ণপাত করছেন না দলীয় কর্মীরাই। এদিন আরামবাগের রাংতাখালিতে সালেপুর -২ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান তথা বর্তমান সদস্য ময়না দাস গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হলেন। তৃণমূলেরই অপর এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তাঁর বাড়ি ভাঙচুরের জন্য। ঘটনার রাতেই স্থানীয় থানায় অভিযুক্ত ১০ জনের নামে এফআইআর দায়ের করেন ময়না দেবী।এই ঘটনার পর ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। পুলিশ ঘটনাস্থল তদারক করতে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ময়না দেবীর লিখিত অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আপাতত পুলিশ পিকেটিং চলছে ওই এলাকায়। এদিন রাত ১০ টা নাগাদ বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতি হামলা চালায় ময়না দেবীর বাড়িতে। বাড়ির এসবেসটস,দরজা,জানলা এমনকি বাড়ির আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়। এমনটাই জানা যায় স্থানীয় এবং পুলিশের সূত্র থেকে। ময়না দেবী ফের সালেপুর-২ এর পঞ্চায়েত প্রধান হওয়াটাই মেনে নিতে পারেনি দলীয় কর্মীদের একাংশ। তাই ক্ষমতা দখলের লোভে ময়না দেবীর বাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলেই মনে করেছেন ময়নাদেবীর অনুগামীরা। এদিকে ময়না দেবীর বক্তব্য,ঘটনার দিন সন্ধ্যায় দলের বুথ সভাপতিকে হেনস্তা করেছিল তৃণমূলেরই অন্য গোষ্ঠী। এই ঘটনার তদন্ত করতে পুলিশ এলাকায় এলে ময়না দেবীর স্বামীর উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতিরা। তারপর ওদিনই রাত দশটা নাগাদ বাড়ি ভাঙচুর করতে আসে তারা। এমনকি তাকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগে জানান তিনি। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তবে ময়নাদেবীর এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবী করে তৃণমূলের অপর এক তৃণমূল কর্মী গৌতম হাজার জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রধানের স্বামী এবং বুথ সভাপতি রাংতাখালির রুইদাস পাড়ায় একটি ক্লাব ভেঙে দিয়েছিল দু বছর আগে। সেখানে রাস্তা নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেকাজ এখনো হয়নি। সেটা নিয়েই ক্ষোভ তৈরি হওয়ায় এলাকাবাসীই ময়নাদেবীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। আর দোষ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর উপর। একই সুরে কথা বলতে দেখা গেল তৃণমূলের আরামবাগের ব্লক সভাপতি তথা পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দীকে। তাঁর বক্তব্য,ওই এলাকায় ক্লাবঘর ও রাস্তা নির্মান নিয়ে স্থানীয়দের বিবাদ হয়েছে ঠিকই,কিন্তু তাতে দলের কোনো যোগ নেই। এই অভিযোগে আবার আপত্তি জানালেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি সুদর্শন বেরা। গোষ্ঠীকোন্দলের কথা অস্বীকার করলেও এই ঘটনা তীব্র অস্বস্তিতে ফেলেছে স্থানীয় তৃণমূল হেভিওয়েটদের। রাজ্য নেতৃত্বদের কাছ থেকে এর জেরে ধমক খাওয়ার ভয়টাও কম নেই তাঁদের। সবমিলিয়ে দলীয় অন্দরেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে আপাতত। আপনার মতামত জানান -