এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অরবিন্দ মেননই কি বাংলার ‘সুনীল দেওধর’? আশায় বুক বাঁধছেন গেরুয়া শিবির

অরবিন্দ মেননই কি বাংলার ‘সুনীল দেওধর’? আশায় বুক বাঁধছেন গেরুয়া শিবির


১৯’ এর লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বাংলাতেও পদ্ম ফোটাতে মরিয়া গেরুয়াশিবির। সেইমতোই ভোট প্রস্তুতি পর্বে একের পর এক রণকৌশল জাতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের। দিল্লিতে বসে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বদের দলীয় সংগঠন মজবুত করার বার্তা যেমন দিচ্ছেন,তেমন মাঝে মধ্যে কেন্দ্রের বিজেপি দূতকেও পাঠাচ্ছেন রাজ্যে বিজেপি কর্মসূচি তদারক করতে। এমনটি নিজেও দফায় দফায় রাজ্যে এসেও দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়েদের জয়ের সঠিক দিশা বাতলে দিয়ে যাচ্ছেন। তবে এবার অরবিন্দ মেননকে বাংলায় পাঠিয়ে লোকসভা ভোটের আগেই মাস্টারস্ট্রোক দিলেন অমিত শাহ। লোকসভা ভোটে বাংলার ৪২ টা আসনে পদ্মফুল ফোটানোর লক্ষ্যমাত্রায় পৌছাতে অমিত শাহ-র এই দূতই পথ বাতলে দেবেন রাজ্য বিজেপিকে।

পড়শি রাজ্য ত্রিপুরাতে বিজেপির নামগন্ধ ছিল না একসময়। অথচ এক বছরে ছবিটাই পাল্টে গিয়েছে ওই রাজ্যের। এর নেপথ্যে কেবল বিপ্লব দেবরা আছে,শুধু এটা বললে ভুল হবে বরং সুনীল দেওধরের মতো কারিগরই ছড়ি ঘুরিয়েছেন পেছনে থেকে। ত্রিপুরা এখন পদ্ম জোয়ারে ভাসছে। সেই একই কৌশল অবলম্বন করে এবার বাংলায় বদল ঘটাতে অরবিন্দ মেননকে পাঠিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ১৯৯৮ সাল থেকে ভারতে কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপিরও উত্থান ঘটিয়েছিল। অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে বিজেপি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসাবে গড়ে উঠেছিল। মোদী জামনা গোটা দেশে গেরুয়া ঝড় উঠলেও বাংলায় এখনো সেভাবে শক্ত ঘাঁটি গাড়তে পারেনি বিজেপি। এই ছবির অবিলম্বে বদল চান মোদী-শাহরা। তাই ত্রিপুরার মতো বাংলাতেও গোপন অপরেশান চালাচ্ছে বিজেপি। পাঠানো হয়েছে বিজেপির দক্ষ সৈনিক অরবিন্দ মেননকে। আশা করা হচ্ছে তাঁর দেখানো পথে হেঁটে এবারের লোকসভা ভোটেই বাংলায় বাজিমাত করবে বিজেপি।

কিন্তু কে এই অরবিন্দ মেনন?বিজেপির একনিষ্ঠ সাধক এই মানুষটি মধ্যপ্রদেশে বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন বহুদিন। সংঘের কাজে পাড়ি দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তাঁর শৈশব কেটেছে বারানসীতে। মাতৃভাষা মালয়ালম হলেও হিন্দি এবং ভোজপুরীতে পারদর্শী। সমান দক্ষতা বাংলাতেও। আর ইংরাজি তো আছেন। অর্থাৎ পাঁচটি ভাষায় পারদর্শী এই যোগ্য মানুষটাকে বাংলায় বিজেপির তুরুপের তাস করে পাঠানো হয়েছে। ছোটবেলায় বারানসীতে থাকাকালীনই বাংলা শিখেছেন তিনি।

পাশাপাশি ছিল অন্যান্য ভাষা শেখার আগ্রহও। তবে তাঁর বাংলা শেখাটা কাজে লাগতে চলেছে আবার। ১১ অক্টোবর রাজ্যে এসেছেন তিনি। আসা থেকেই জোর কদমে শাহ নির্দেশিত কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। বাংলার দায়িত্বে আসায় বাঙালি হয়ে ওঠার চেষ্টায় দক্ষিণি খাবার ছেড়ে বাংলার ভাত-ডাল-ঝিঙে পোস্তেই রসনাতৃপ্তি করছে তিনি। বাংলার ঘরের মানুষ হয়ে উঠতে চাইছেন তিনি বঙ্গ সংস্কৃতিকে আপন করেই।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বাংলার দায়িত্ব পাওয়ার পর কালবিলম্ব না করেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন মেনন। বাংলা থেকেই ট্যুইট করে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি সাঁতরাগাছি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনা এবং লক্ষ্মী পুজোর শুভেচ্ছা প্রদান করতে ট্যুইট করতে বাংলা ভাষার ব্যবহার করলেন তিনি। চূড়ান্ত সাংগঠনিক ক্ষমতা থাকা মানুষটি রাজ্য বিজেপির দলীয় দোষ ত্রুটিগুলোকে উপসম করে লোকসভা ভোটে জয়ে লক্ষ্যমাত্রায় পৌছে দিতে এবং বিরোধীদের রুখতে সদর্থক ভূমিকা নেবে বলেই আশা করছেন বিজেপির হেভিওয়েটরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!