এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ‘অর্ধেকের বেশি বিধায়ক দল ছাড়তে পারেন’, দাবি হেভিওয়েট নেতার

‘অর্ধেকের বেশি বিধায়ক দল ছাড়তে পারেন’, দাবি হেভিওয়েট নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এ রাজ্যে আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার রাজনীতিতে পিছনের আসরে। বর্তমানে তাঁরা হাত ধরেছে বাম শিবিরের। অন্যদিকে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের শেষে কংগ্রেস সংগঠন নিয়ে একাধিক নেতা নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে চিঠি দিয়ে। এছাড়াও ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে শতাব্দী প্রাচীন দলের ব্যাপক অন্তর্কলহের খবর। জাতীয় রাজনীতিতে চাঞ্চল্য জাগিয়ে এবার কংগ্রেস শিবিরের হেভিওয়েট নেতা জানিয়ে দিলেন, অর্ধেকের বেশি বিধায়ক এবার দল ছাড়তে চলেছেন বিহারে।

আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে এবার প্রবল জল্পনা। সূত্রের খবর, বিহার কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক ভরত সিং দাবি করেছেন- আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রায় 11 জন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়তে চলেছেন। কংগ্রেস নেতা ভরত সিংহ আরও জানিয়েছেন, কংগ্রেসের 19 জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র 11 জন বিধায়ক রয়েছেন যারা কংগ্রেসের নন। তাঁরা টাকা দিয়ে বিধায়ক হয়েছেন বলে দাবি করেন হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা। তবে এদিন দলীয় অন্তর্কলহের বিষয়টি সামনে আসে। এক্ষেত্রে ভরত সিংহ অভিযোগ করেন, যে 11 জন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়তে চলেছেন তাঁদের কিন্তু রাস্তা দেখাচ্ছেন কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি মদনমোহন ঝা, রাজ্যসভার সাংসদ অখিলেশ প্রসাদ সিংহ এবং কংগ্রেসের নেতা সদানন্দ সিং।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা ভরত সিংহ জানিয়েছেন তিনি বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরজেডির সঙ্গে জোট কোনোমতেই মেনে নেননি। তাই এদিন আবারও প্রকাশ্যে আসে প্রবীণ কংগ্রেস নেতার বিহারের মহাজোট নিয়ে ক্ষোভ। এমনকি এই কংগ্রেস নেতা অখিলেশ প্রসাদ সিং, মদনমোহন ঝা এবং সদানন্দ সিংয়ের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। যদিও পুরোটাই উড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস সুপ্রিমো। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন শেষে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস কিন্তু সেখানে মোটেই ভালো কিছু করতে পারেনি বরং সে ক্ষেত্রে বামেরা উঠে এসেছে জাতীয় রাজনীতিতে।

বিহারে কংগ্রেস লড়েছিল 70 টি আসনে। কিন্তু সেখান থেকে জয় এসেছে তাঁদের মাত্র 19 টি তে। যার ফলস্বরূপ মহাজোট ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের শেষে দলের অন্দরেই তৃণমূল স্তরে কংগ্রেসের সংগঠন যে কতটা আলগা তা নিয়ে একের পর এক মন্তব্য শুরু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ধাক্কা আরও বেশি করে কংগ্রেসের বর্তমান অন্তর্কলহকে সামনে এনে দিয়েছে। দেশের একদা দাপুটে রাজনৈতিক দলের অন্দরে এখন শুধুই দ্বন্দ্ব আর কলহ। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা ‘অর্ধেকের বেশি বিধায়ক দল ছাড়তে পারেন’ বলে যে দাবি করেছেন, তা যে কংগ্রেস শিবিরকে ব্যাপক চাপের মুখে ফেলল সে কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!