এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > লাড্ডু কারখানায় অস্ত্র তৈরী নিয়ে মুখ খুললেন অর্জুন সিং, জেনে নিন বিস্তারিত

লাড্ডু কারখানায় অস্ত্র তৈরী নিয়ে মুখ খুললেন অর্জুন সিং, জেনে নিন বিস্তারিত


উত্তর ২৪ পরগণার কাঁকিনাড়ার ভাটপাড়া পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ম্যানেজার বাগান এলাকায় এদিন একটি বেআইনি অস্ত্র তৈরীর কারখানাকে সিল করে দিলো এসটিএফ। একই সাথে ঐ কারখানা থেকে ধরা পড়লো পাঁচ দুষ্কৃতি। এই ঘটনায় স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে পুরসভার নাকের ডগায় রমরমিয়ে চলছে অস্ত্র কারখানা আর পুরসভা এই বিষয়ে কিছুই জানেনা এটা কেমন করে সম্ভব ?

এই প্রশ্নের জবাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যান অর্জুন সিং পরিষ্কার ভাষায় বললেন শিল্পাঞ্চলে কোথায় কে কী করছে তা বোঝা সম্ভব নয়। এদিকে এসটিএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই এলাকায় একটি পরিত্যক্ত লাড্ডু কারখানার অন্তরালে চলছিলো অস্ত্র কারখানা। এই ঘটনার ফলে স্বভাবতই পুরসভার ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে আসছে। যদিও কারখানাটি যে জমিতে গড়ে উঠেছে  সেই জমির মালিক গিরিজা দেবী বললেন, ঐ এলাকারই এক অধিবাসী জনৈক সুরজ সাউ নামক এক ব্যক্তির সাথে তাঁরই পরিচিত জানিয়ে কয়েকজন অপরিচিত মানুষ এসেছিলেন তাঁর কাছে। তারা এই জায়গা ভাড়া নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং সেই জন্যে গিরিজা দেবীকে ৪০ হাজার টাকা অগ্রিমও দেয়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

এর পরবর্তী সময়ে গিরিজা দেবী জমি ভাড়া সংক্রান্ত কোনো লেনদেনের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না এই সব কাজ তাঁর ছেলেই দেখাশুনো করতেন বলে জানালেন তিনি। গিরিজা দেবীর কথার সূত্র ধরেই জানা যাচ্ছে যারা জমি ভাড়া নিয়েছিলো তারা লেদ মেশিন বসিয়ে লোহা কেটে কিছু কাজকর্ম করতেন কিন্তু সেগুলি কী সেই বিষয়ে তিনি বিশদে কিছুই জানতেন না। আরও জানা গেলো জমির ভাড়াটেরা নিজেদের ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিধায়ক তথা ঐ এলাকার চেয়ারম্যান অর্জুন সিং তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বললেন, ”শিল্পাঞ্চলে কোন ঘরে কে কী করছে তা সব সময় জানা সম্ভব নয়। শুনেছি ওরা বাইরে থেকে এসেছিল। ওখানে লেদ মেশিন বসিয়ে পিস্তল তৈরি করছে এটা ভাবাই যায়না। তবে শিল্পাঞ্চল এলাকায় আমাদের আরও সজাগ হতে হবে। এসটিএফ নিশ্চয়ই কোনও অস্ত্র কারবারিকে ধরেছিল। যার সূত্র ধরে তারা এখানে পৌঁছেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সজাগ থাকতে হবে। এই পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডটি একটি গ্রামীন এলাকা। শহরাঞ্চল নয়। ওরা মুংগের থেকে এসে এখানে এসব করত। পুরসভা বিষয়টা জানত না।” এই ঘটনার ফলে স্বভাবতই বেশ এলাকার সাধারণ মানুষ বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!