প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে জমে উঠেছে একুশের বিধানসভার নির্বাচনী প্রচার। রাজ্যের মুখ্য রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনের প্রস্তুতিতে রাজ্যজুড়ে জোরদার প্রচার চালাচ্ছে। অপেক্ষা এখন শুধুমাত্র নির্বাচনী দিনক্ষণ ঘোষণার। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ও বাম-কংগ্রেস জোট রাজ্য নেতাদের সঙ্গে প্রচার চালালেও গেরুয়া শিবিরের হয়ে কিন্তু রাজ্যে প্রচারে আসছেন একের পর এক কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা। এমনকি প্রধানমন্ত্রীকেও বেশ ঘন ঘনই দেখা যাচ্ছে সরকারী কর্মসূচীর হাত ধরে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও একবার রাজ্যে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে হলদিয়ার পর এবার প্রধানমন্ত্রী সভা করবেন হুগলিতে। আর সেকারণেই শনিবার বিকেলে রাজ্য বিজেপি নেতাদের অনেককেই পাওয়া গেল হুগলির মাঠ পরিদর্শনে। তবে সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, প্রধানমন্ত্রী একজন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা। তিনি অবশ্যই বাংলায় রাজনৈতিক সভা করতেই পারেন। সেক্ষেত্রে অস্বাভাবিক কিছু নেই।

তবে রাজনৈতিক মহলের কৌতুহল অন্য জায়গায়। ওই একই দিনে কি রাজ্যে কোন সরকারি অনুষ্ঠান হতে চলেছে? ইঙ্গিত কিন্তু সেরকমই পাওয়া যাচ্ছে। যেমন দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো রেলের সম্প্রসারণ প্রকল্প উদ্বোধন হতে পারে সেদিন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকেরও একটি অনুষ্ঠান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন, তাহলে ধরে নিতে হবে তারপরেই নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে।

কারণ ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়ে গেলে আদর্শ আচরণ বিধি কার্যকর হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধির আওতায় কোন সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন বা শিলান্যাস ইত্যাদি করা যায়না। তবে সরকারী কর্মসূচীই হোক কিংবা নির্বাচনী প্রচার, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবির যে আরও একবার উজ্জীবিত হতে প্রস্তুত সেকথা অনস্বীকার্য। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনী লড়াই জমে উঠেছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ সেকথা বলাইবাহুল্য।