এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আড়ম্বরহীন পুজো? শারদোৎসব নিয়ে বড় বার্তা হেভিওয়েট মন্ত্রীর!

আড়ম্বরহীন পুজো? শারদোৎসব নিয়ে বড় বার্তা হেভিওয়েট মন্ত্রীর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতির কারণে জৌলুসহীন হয়ে পড়েছে উৎসব-অনুষ্ঠান। 2020 সালে প্রথম ভারতবর্ষে হানা দিয়েছিল করোনা ভাইরাস। যার জেরে সামাজিক দূরত্ব পালন, মাক্স পড়া ইত্যাদির মধ্যে দিয়েই গত বছর আড়ম্বরহীন শারদ উৎসব পালন হয়েছিল। কিন্তু 2021 সালেও করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা কাটেনি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর আবার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সামনেই শারদ উৎসব।

তবে যেভাবে করোনা ভাইরাস নিয়ে চিন্তা বাড়ছে, তাতে এবারে শারদ উৎসবের আনন্দে ভাটা পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর সেই আশঙ্কাতেই সীলমোহর দিয়ে বড় বার্তা দিতে দেখা গেল রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। যেখানে করোনা পরিস্থিতির কারণে বড় বড় পুজো না করে মানুষকে সহযোগিতা করা উচিত বলে আবেদন করলেন তিনি। স্বভাবতই তার এই আবেদন ঘিরে নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

সূত্রের খবর, এদিন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক, রাজ্যের মন্ত্রী তথা নাকতলা উদয়ন সংঘের মত বড় ক্লাবের দায়িত্বে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি বলব, যারা বড় পুজোর আয়োজন করেন, তারা এই করোনা মোকাবিলার পরিস্থিতিতে তাদের ব্যয়ের বড় অংশ করোনা মোকাবিলায় ব্যবহার করুন। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো বড় পুজোর আয়োজনের পক্ষপাতি নই। করোনা পরিস্থিতিতে পূজার খরচ কমিয়ে সংগঠকরা মানুষের প্রয়োজনে তা ব্যবহার করুন।” আর এখানেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত হেভিওয়েট মুখ যখন এই ধরনের বার্তা দিচ্ছেন, তখন এবারেও বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলো বড় পুজোর ভাবনা থেকে সরে আসতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা সরকারের পক্ষ থেকে হয়ত বা করোনা ভাইরাস নিয়ে একগুচ্ছ বিধি-নিষেধ জারি করা হতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনেই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে। তাই এখন সচেতন থাকাটাই জরুরি। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী তথা বড় ক্লাবের দায়িত্বে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় যেভাবে সচেতনতা বার্তা দিয়ে আড়ম্বরহীন পুজো করার পরামর্শ দিলেন, তাতে এবারের শারদ উৎসবে যে কিছুটা হলেও ভাটা পড়তে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

অনেকে বলছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শুধু বড় ক্লাবের দায়িত্বেই নেই, তিনি রাজ্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধি এবং মন্ত্রিসভার সদস্য। তাই এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আর সেই কারণেই পুজোকে আড়ম্বরহীন করার কথা বলে যারা করোনা ভাইরাসের মধ্যে সংকটজনক পরিস্থিতির রয়েছেন, তাদের পাশে থাকা যে ক্লাবগুলোর নৈতিক কর্তব্য, তা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। সব মিলিয়ে 2021 সালেও শারদউৎসবে কি সেভাবে আনন্দে মাততে পারবে না বঙ্গবাসী, এখন সেটাই বড় প্রশ্নের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!