অর্পিতা থেকে মৌসম, সাসপেন্ড ছয় সাংসদ, ব্যাপক চাপে তৃণমূল! সরগরম অধিবেশন! জাতীয় তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য August 4, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কিছুদিন আগেই রাজ্যসভায় অসংসদীয় আচরণ করার জন্য গোটা অধিবেশন পর্ব থেকে সাসপেন্ড হতে হয় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে। যার জেরে হৈ হট্টগোল শুরু করে দূয় তৃণমূল কংগ্রেস। অধিবেশনের ভেতরে এবং বাইরে গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় ঘাসফুল শিবিরকে। আর এবার রাজ্যসভায় আরও চাপের মুখে পড়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে আজ রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের ছয় হেভিওয়েট সাংসদকে। মূলত আজকের অধিবেশনে থেকে ছয় সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর। স্বভাবতই গোটা বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যসভার একদিনের অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের ছয় সাংসদকে। যাদের মধ্যে রয়েছেন দোলা সেন, অর্পিতা ঘোষ, মৌসম বেনজির নূর, আবির বিশ্বাস, শান্তা ছেত্রী এবং নাদিমুল হক। কিন্তু কি অভিযোগ এনে এই ছয় তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল? জানা গিয়েছে, এদিন রাজ্যসভার অধিবেশনে চলার সময় নিয়ম ভঙ্গ করেছেন এই সমস্ত তৃণমূল সাংসদরা। বারবার অধিবেশনে ব্যাঘাত ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। আর সেই কারণেই তাদেরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশ বলছেন, এই গোটা ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবারের বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে আরও বেশি করে ঝাপাতে পারে। এমনিতেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে সংসদের ভেতরে এবং বাইরে সরব হতে শুরু করেছে তৃণমূল সহ একাধিক বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের তৎপরতার মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, আগামী দিনে বিজেপিকে সরানোর জন্য তার দলের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। আর সেই মতো করেই দলীয় সাংসদদের অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ নামা জারি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে অধিবেশনে ব্যাঘাত ঘটানোর অভিযোগে শান্তনু সেনের পর রাজ্যসভায় আজকের জন্য সাসপেন্ড দলের তৃণমূলের ছয় হেভিওয়েট সাংসদ। যাকে কেন্দ্র করে আগামী দিনে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারে ঘাসফুল শিবিরের জনপ্রতিনিধিরা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -