রাতের অন্ধকারে রামনবমীর পতাকা পোড়াল দুষ্কৃতীরা! দূর্গা নবমীতে তীব্র উত্তেজনা বাংলার বুকে বর্ধমান রাজ্য October 25, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের মহানবমীর দিনেই রামনবমীর পতাকা পুড়িয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল বাংলায়। সূত্রের খবর, রবিবার সকালে এই রামনবমীর পতাকা পুড়িয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুর থানা এলাকার মেন গেটের স্টিল পার্ক এলাকায়। কে বা কারা এই পতাকা পুড়িয়ে দিল, এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিস্তর গুঞ্জন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রামনবমী পালনের জন্য গোটা দুর্গাপুর শহরে এই পতাকা টাঙানো হয়েছিল। তবে রবিবার 13 নম্বর ওয়ার্ডের স্টিল পার্ক এলাকায় বহু ধর্মীয় পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে বিক্ষোভরত জনতাকে শান্ত করে। মুহূর্তের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। আর যেভাবে মহা নবমীর দিন এলাকায় রামনবমীর পতাকাকে পুড়িয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল, তাতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন একাংশ। সকলেরই প্রশ্ন, কে বা কারা এই ধর্মীয় পতাকা পুড়িয়ে দিল? তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ আছে বলে গন্ধ পাচ্ছেন একাংশ। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে সংখ্যালঘুদের একাংশকে দায়ী করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে পঙ্কজ গুপ্ত নামে এক বিজেপি নেতা বলেন, “এই এলাকায় কোনো রকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা যায় না। পুজো করতে দেওয়া হয় না। অথচ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, যে এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, সেটা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত। ফলে সেখানে রামনবমীর পতাকা পুড়িয়ে দেওয়ার পেছনে সংখ্যালঘুদের একাংশকে বিজেপি নেতা দায়ী করায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উৎসবের মরসুমে বিনষ্ট হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, যদি অবিলম্বে এই পরিস্থিতি শান্ত করা না যায়, তাহলে তা বেগতিক আকার ধারণ করতে পারে। এমনিতেই বাংলার রাজনীতিতে রামকে নিয়ে শাসক বিরোধীদের মধ্যে যে তরজা সৃষ্টি হতে দেখা যায়, তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। আর তার মধ্যে উৎসবের মরসুমে মহানবমীর দিন রামনবমীর পতাকা পুড়িয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিস্তর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। এখন এলাকার শান্তি স্থাপনে পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রত্যেকে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -