প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছিল। রাজ্যে তৃণমূল সরকারের বিকল্প হিসেবে বিজেপিকে যে বিরোধী দলের জায়গায় দেখতে চায় সাধারণ মানুষ, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এদিকে বিজেপি বিরোধী দলের জায়গা দখল করার পর থেকেই ক্রমাগত নানা ঘটনাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে। সব থেকে বেশি দুর্নীতির বিষয়কে সামনে রেখে বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনে নামতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে।

কিন্তু এবার রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে উঠল আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। যার ফলে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি যথেষ্ট বেকায়দায় পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি বাগদা এলাকার বাসিন্দা অরূপরতন রায় নামে এক জনৈক ব্যক্তি বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে বিধাননগর উত্তর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার দাবি, গ্যাসের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। আর তার পরেই তার কাছ থেকে মোটা টাকা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও লাইসেন্স না পাওয়ায় সেই ব্যাপারে জয়প্রকাশবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। আর তার ফলেই এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে খবর।

স্বভাবতই যে বিজেপি বারবার নিজেদের স্বচ্ছ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা দল বলে দাবি করছে, সেই বিজেপির রাজ্যের অন্যতম নেতা জয়প্রকাশবাবুর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ যে তৃণমূলের হাতে বাড়তি হাতিয়ার তুলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে অবশ্য গুরুত্ব দিতে চাননি রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। এদিন তিনি বলেন, “আমি ভদ্রলোক। রাজনীতি করি। তাই কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করি না। অরূপের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তদন্ত প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করেছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।

স্বাভাবিক ভাবেই তদন্তের পর কি উঠে আসে, তার দিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের। কিন্তু যেভাবে রাজ্য বিজেপির সভাপতির বিরুদ্ধে এই রকম বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে এলো, তাতে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য নেতৃত্ব যে কিছুটা হলেও বিড়ম্বনার মুখে পড়ে গেল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।