এখন পড়ছেন
হোম > খেলা > এবার ক্রিকেটে টাকা নয়ছয়ের দায়ে ইডির হাতে পড়তে চলেছেন এই হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ! শুরু জল্পনা

এবার ক্রিকেটে টাকা নয়ছয়ের দায়ে ইডির হাতে পড়তে চলেছেন এই হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ! শুরু জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আর্থিক তছরুপের মামলায় নতুন মোড়। দুর্নীতি মামলায় আরো একবার এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট অথবা ইডির মুখোমুখি হলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ। সম্প্রতি তিনি বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু আরো একবার জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের 43 হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুককে দীর্ঘক্ষণ জেরা চালালো ইডি বলে জানা গেছে।

যদিও ইতিমধ্যেই সিবিআই জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিপুল অর্থ তছরুপের জন্য চার্জশিট পেশ করেছে আদালতে। আর তার ভিত্তিতেই আজকে গোয়েন্দা সংস্থার মুখোমুখি হতে হল ফারুককে। অন্যদিকে কাশ্মীরের অন্যতম রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার। প্রসঙ্গত 2002 থেকে 2011 সালের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের 43.69 কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে।

যা নিয়ে রীতিমত তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় কাশ্মীর জুড়ে। সেসময় টাকা খরচের অসঙ্গতির অভিযোগ আসে একাধারে এনসি সাংসদ ফারুক আবদুল্লাহর ওপর। ঠিক তার সাথেই কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন তিন আধিকারিক মির মনজুর গজনফার আলি, বশির আহমেদ মিসগর এবং গুলজার আহমেদ বেগের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করে চার্জশিট আনে সিবিআই । গত বছরের 5 ই আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় কেন্দ্র।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

370 অনুচ্ছেদের বিলোপের পরেই এনসি সাংসদ ফারুক আবদুল্লাহকে মুখোমুখি হতে হয়েছিল সিবিআইয়ের। সোমবার আবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলো ইডি। যদিও ফারুক আবদুল্লাহ নিজে কিংবা ইডির পক্ষ থেকে এই জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে অশীতিপর ফারুক আবদুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে এনসি। এনসি নেতাদের মতে, জম্মু-কাশ্মীরে জনসাধারণের হাত ধরে যে জোট গঠন হয়েছে, তার বিরুদ্ধে এটি বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।

কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধীদের ক্ষেত্রে কাজে লাগাচ্ছে শাসক দল বিজেপি। প্রসঙ্গত, গতবছর 370 অনুচ্ছেদ বিলোপের আগের দিন অর্থাৎ চৌঠা আগস্ট শ্রীনগরে ফারুক আবদুল্লাহর বাড়িতে বিজেপি বাদে জম্মু-কাশ্মীরের প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা বৈঠক করে নতুন একটি জোটের সূচনা করেন। আর সেখান থেকেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার যুক্তিটি উঠে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত দুর্নীতি নিয়ে কাশ্মীরের অন্যতম দল ন্যাশনাল কনফারেন্স যে চাপের মুখে পড়তে চলেছে, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!