এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আশঙ্কা তীব্র করে মহামারীর বীজ এবার পাওয়া গেল ভারতের মাটিতে

আশঙ্কা তীব্র করে মহামারীর বীজ এবার পাওয়া গেল ভারতের মাটিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০০৯ সালে জাপানের মাটিতে প্রথম ক্যানডিডা অরিস বা সি অরিস পাওয়া গিয়েছিল। ক্যানডিডা অরিস হলো এক ভয়ানক সুপারবাগ, যা এক ধরনের ছত্রাক। এর সংক্রমণ আগামী দিনে ভয়াবহ মহামারী ঘটাতে পারে। কারণ বাজার চলতি ওষুধ দিয়ে এর মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সম্প্রতি দিল্লির এক গবেষকের দল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ক্যানডিডা অরিস খুঁজে পেয়েছেন। করোনার আবহে যা এক চোখ রাঙানি বিজ্ঞানীদের, করোনার চেয়েও কয়েকগুন ভয়াবহ হলো এই ক্যানডিডা অরিস।

কিছুদিন আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অনুরাধা চৌধুরী ও তাঁর সহযোগীরা আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা এই ক্যানডিডা অরিসের সন্ধান পেয়েছেন। গবেষকেরা জানিয়েছেন, ক্যানডিডা অরিস যদি সংক্রামিত হয়, তবে তা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। কারন, ১ বছরে ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে এই সুপারবাগ। সাধারণ চিকিৎসায় প্রায় অসম্ভব একে রোখা। কারণ, বাজার চলতি ওষুধে একে রোখা প্রায় অসম্ভব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গবেষকেরা আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ৮ টি স্থান থেকে ৪৮ টি নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। সমুদ্রতীরবর্তী বেলাভূমি, প্রবাল প্রাচীর, পাথুরে এলাকা, লবণাক্ত এলাকা, বাদাবন থেকে তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। সমুদ্রের বেলাভূমি, লবণাক্ত জলাভূমি থেকে পাওয়া গেছে সি অরিস। এই জলাভূমি গুলিতে মানুষের তেমন একটা যাতায়াত নেই, কিন্তু সমুদ্রতীরের বেলাভূমিতে বহু মানুষের যাতায়াত। যেখান থেকে মানব দেহে সহজেই সি অরিস ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

মূলত, লবণাক্ত এলাকায় পাওয়া সুপারবাগ সম্পূর্ণ ওষুধ প্রতিরোধী নয়। গবেষকরা মনে করছেন, এটিই মূল প্রজাতির সি অরিস। অন্য যেগুলো পাওয়া গেছে সেগুলি হল পরিব্যাপ্ত প্রজাতি। সম্প্রতি,সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর গবেষণায় দেখা গেছে যে, শরীরের কোনো ক্ষত স্থানে সংক্রমণ ঘটে থাকে সি অরিসের। তবে আশার কথা একটাই, সম্প্রতি বাল্টিমোরের জন হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেল্‌থ-এর মলিকিউলার মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এখনো পর্যন্ত মানুষ সহ কোনো জীবন্ত প্রাণীর দেহে উচ্চ তাপমাত্রা সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারছেনা সি অরিস বা ক্যানডিডা অরিস।

তবে, এই ক্যানডিডা অরিসের যদি সংক্রমণ ঘটে, তবে মানব জাতির পক্ষে তা ভয়াবহ হয়ে উঠবে। কারন বাজার চলতি ওষুধে এর মোকাবিলা প্রায় অসম্ভব। ২০০৯ সালে জাপানে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল ক্যানডিডা অরিস। পরবর্তীকালে ব্রিটেনসহ কিছু দেশে সমুদ্রের ধারে এর সন্ধান পাওয়া গেছে। এবার ভারতেও পাওয়া গেল এই ভয়াবহ সুপারবাগ। যা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!