আসানসোলকে গেরুয়া মুক্ত করতে দলীয় বিধায়কদের বিশেষ নির্দেশিকা শাসকদলের বর্ধমান রাজ্য March 8, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম বর্ধমানে সবুজ ঝড় তুলতে দলীয় বিধায়কদের লিড দেওয়ার টার্গেট বেঁধে দিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতো আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বিধায়কদের সঙ্গে একটি এ ব্যাপারে একটা বৈঠক হবে বলেও জানা গিয়েছে। এই বৈঠকে পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের থাকার কথা রয়েছে। এলাকায় জয়লাভের জন্যে বিধায়ক রণকৌশল তৈরি করবেন। তবে যেসব বিধানসভা কেন্দ্রে শাসকদলের বিধায়ক নেই সেখানে দলীয় নেতারা এই দায়িত্ব ভাগ করে নেবে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর,বারাবনি বিধানসভা কেন্দ্রের মূল দায়িত্বে থাকবেন ওই কেন্দ্রের বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। কুলটি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। আসানসোলের একটি বিধানসভা কেন্দ্রে মলয় ঘটক এবং অন্যটিতে তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনের কাজ পর্যবেক্ষণ করবেন। জামুড়িয়া বিধানসভা কেন্দ্রে গত নির্বাচনে তৃণমূল জয়ী না হতে পারার জন্যে ওই কেন্দ্রে সিপিএম জয়ী হয়েছিল। জামুড়িয়া বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন পরিচালনা করবেন দলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন দাসু। রানিগঞ্জেও বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল পরাজিত হয়েছিল। এই বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে। রানিগঞ্জের পাশাপাশি তিনি তাঁর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র পাণ্ডবেশ্বরে ভোটের স্ট্র্যাটেজিও ঠিক করবেন। দুর্গাপুরে একটি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী ঘুঁটি সাজাবেন ওই কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। এই শহরের অন্য বিধানসভা কেন্দ্রটি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তম মুখোপাধ্যায় এবং প্রভাত চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁদের অন্য নেতারাও সহযোগিতা করবেন। শহরের ওই বিধানসভা কেন্দ্রেও শাসকদলের বিধায়ক নেই বলেই খবর রয়েছে। দলীয় সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবারের ভোটে তৃণমূলের জয় বড় চ্যালেঞ্জের। গত লোকসভা ভোটে এখানে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তৃণমূল। রাজনৈতিকমহলের মতে,তৃণমূলের ভুলের জন্যে বিজেপি এই কেন্দ্রে জয় হাসিল করেছিল। সেজন্যে এবার কোনো ভুল করতে চায় না তৃণমূল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জেলায় দলীয় সংগঠন মজবুত করার পাশাপাশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দমনেরও নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যনেতৃত্ব। তবে দলের একাংশের মতে, এখনো বেশ কিছু এলাকায় কিছু বিষয়ে নেতাদের মধ্যে মন কষাকষি রয়েছে। এরমধ্যে এগিয়ে রয়েছে দুর্গাপুরের শাসকদলের নেতারা। তাই দুর্গাপুরের দলীয় সংগঠনের উপরই বেশি নজর রয়েছে তৃণমূলের। অন্যদিকে,দলের প্রবীন নেতাদের মতে,রাজ্য নেতৃত্ব বিধায়কদের নিজের নিজের এলাকায় দায়িত্ব দিয়ে নতুন কৌশল নিয়েছে হয়তো কিন্তু দলের ভালো বা খারাপ ফলের উপর বিধায়কদের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করবে। আর সেই কারণে এবারের লোকসভা ভোটে বিধায়করা নিজেদের তরফ থেকে চেষ্টায় কোনো খামতি রাখবে না। তৃণমূলের এক জেলার নেতার মতে,যেহেতু সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়করাই ব্লক সভাপতি ঠিক করেছিলেন তাই নির্বাচনে সম্মিলিতভাবে সবাই কাজ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিটি বিধায়কই এলাকায় রাস্তাঘাট,সংস্কার,নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি,পথবাতি বসানো থেকে শুরু করে বহু উন্নয়নমূলক কাজ করছে। এসব উন্নয়নমূলক কাজকে মাধ্যম করে প্রচারে নামলে দলের পক্ষে ফলপ্রসূ হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে ভোট পরিচালনার জন্যে জেলা নেতৃত্বদের তরফ থেকে সবরকম সহযোগিতা পাবেন তাঁরা। জেলার পুরানো নেতারাও যাতে মান-অভিমান ভুলে লোকসভা ভোটের আসরে নামেন সে চেষ্টাও করা হচ্ছে। উল্লেখ্য,আসানসোল বিজেপির তরফ থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা ইতিমধ্যেই করা হয়ে গিয়েছে। কাজেই লোকসভা ভোটে তৃণমূলের তরফ থেকে শিল্পাঞ্চলে কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে বেশ জল্পনা শুরু হয়েছে জেলাবাসীদের মধ্যে। তবে লোকসভা ভোটে প্রার্থী ঘোষণা না হলেও দলীয় রণকৌশল তৈরি করতে তৃণমূল যে ময়দানে নেমে গিয়েছে তা বলাবাহুল্য। আপনার মতামত জানান -