আসানসোলে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর “জয় শ্রীরাম” বুঝেই ভাগ বসাতে ঝাপালেন তৃণমূল নেতারাও! বর্ধমান রাজ্য April 23, 2019 ইতিমধ্যেই রাজ্যের পাঁচটি কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আর যে সমস্ত কেন্দ্রের এখনো নির্বাচন হয়নি, সেই সমস্ত কেন্দ্রগুলিতে বিভিন্ন কায়দায় মানুষের সমর্থন পেতে জোর প্রচার শুরু করেছে শাসক-বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাই। মূলত এবারের নির্বাচনে ভোটার অপেক্ষা রামকে নিজেদের দখলে রাখতে তৎপর হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলো। আর এরকমই একটি কেন্দ্র আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র। তৃণমূল থেকে বিজেপি প্রায় প্রত্যেকেই রামচন্দ্রের নায়ক রামকে কাছে পেতে ভগবান রামের আশীর্বাদ তাদের পাশেই আছে বলে প্রচার করতে শুরু করেছে। মাঝেমধ্যেই বিজেপি নেতারা তাদের প্রচার কর্মসূচিতে “জয় শ্রীরাম” স্লোগান দিয়ে আকাশ বাতাস মাত করে তুলছেন। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে “রাম কারও একার নয়” বলে গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে এই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছিলেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। আর এবার এই লোকসভা কেন্দ্র দখল করতে এখানে তৃণমূলের তরফে বাবুলের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছে অভিনেত্রী মুনমুন সেনকে। শুরু হয়েছে জোর লড়াই তৃণমূলের দাবি, শুধুমাত্র জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া ছাড়াই পাঁচ বছরে এখানকার বিজেপি সাংসদ তেমন কোনো কাজ করতে পারেননি। তাই এখন জয় শ্রী রামের ধ্বনি তুলে হিন্দু ভোটকে তারা নিজেদের বাগে আনতে চাইছেন। তবে তৃণমূল মুখে এহেও দাবি করলে কাজে তারাও সেই রামভক্ত হতে শুরু করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, শনিবার রাতেই অন্ডালে হনুমানের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনকে। আর রামকে কেন্দ্র করে বিজেপি বনাম তৃণমূলের এই দড়ি টানাটানিতে কিছুটা হলেও আশ্চর্য হয়েছেন এই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের ভোটাররা। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন বলেন, “রাম আমাদেরও দেবতা। বিজেপি শুধু ভাগাভাগি করতে চায়। কিন্তু আমাদের বাংলায় তা কখনোই সম্ভব নয়।” অন্যদিকে বিজেপি বিপদে পড়ে এখন রামকে ডাকতে শুরু করেছে। রাম যেমন রাবণকে বধ করেছিলেন, ঠিক তেমনই সারা দেশের মানুষ এবার বিজেপিকে পরাজিত করবেন বলে জানান তৃণমূলের অরূপ বিশ্বাস। অন্যদিকে দেশে সুশাসন আনতে রাম সকলের অন্যতম ভরসা। তৃণমূলও এখন চাপে পড়ে রামকে ডাকতে শুরু করেছে বলে জানান গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তবে রাম নিয়ে তৃণমূল বনাম বিজেপির এই দড়ি টানাটানিতে শেষ পর্যন্ত ভগবান রামের আশীর্বাদ কার দিকে যায় তার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 23 মে পর্যন্ত। আপনার মতামত জানান -