এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > আসছে ২০২১, অনেক নেতা কি ‘বিশ্রামে’ থাকবেন ? জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে!

আসছে ২০২১, অনেক নেতা কি ‘বিশ্রামে’ থাকবেন ? জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 বিজেপির কাছে অন্যতম প্রধান টার্গেট। কিন্তু তৃণমূলকে সরানো যে মুখের কথা নয়, তা ভালোই বুঝতে পেরেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই সরাসরি বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার বিষয় নিজে তদারকি করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে অমিত শাহ যদি বাংলার ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে উঠেপড়ে লাগেন, তাহলে বিজেপির অনেক নেতা যারা পদ দখল করে আছেন, অথচ কোনো কাজ করছেন না, তাদের নাভিশ্বাস উঠে যেতে পারে বলে মনে করছে বিজেপি ঘনিষ্ঠ মহল। কেননা তৃণমূলের মত শক্তিশালী শাসককে সরাতে গেলে মানুষের মন জয় করা খুব দরকার।

এখনও পর্যন্ত বিজেপির পক্ষ থেকে সেভাবে মানুষের মন জয় করা সম্ভব হয়নি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলে বিজেপি হয়ত বা একটা গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছেছে। কিন্তু আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বুথের সংগঠন ঠিক না করতে পারলে তাদের পক্ষে ভালো ফল করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই পরিস্থিতিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলার দিকে বাড়তি নজর দিতে শুরু করায় যে সমস্ত বিজেপি নেতারা পদ আঁকড়ে বসে রয়েছেন, অথচ কোনো কাজ করছেন না, তাদের ডানা ছাটা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিজেপির একাংশের মতে, বর্তমানে বিজেপিতে পুরনো বনাম নতুনের দ্বন্দ্ব চরমে আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করা রাহুল সিনহা এতদিন কেন্দ্রীয় সম্পাদক থাকলেও, সম্প্রতি তাকে সেই জায়গা থেকে সরিয়ে দিয়ে তৃণমূল থেকে আগত অনুপম হাজরাকে সেই জায়গায় বসানো হয়েছে। যার ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাহুলবাবু। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে নতুন কোনো জায়গায় এখনও পর্যন্ত বসানো হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও একাংশ বলছেন যে, বিভিন্ন নির্বাচনে অতীতে পরাজিত হয়েছেন এই রাহুল সিনহা। তাই তাকে হয়ত বা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক করে দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব হলেও, তাকে এখনও পর্যন্ত কোনো জায়গা দেয়নি ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বাভাবিক ভাবেই তিনিও আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে কতটা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারবেন, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। আর হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বিজেপিতে থাকলেও, তাদের এক এক করে পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, তাদের দলের পদে থেকে কাজ না করলে বেশিদিন তাদের পদে রাখা হবে না।

অনেকে বলছেন, বিজেপিতে আপন-পর বলে কেউ নেই। তৃণমূল থেকে এসেছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু আসার সাথে সাথেই তাকে জায়গা দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ তিন বছর ধরে ধৈর্য সহকারে বসেছিলেন তিনি। কাজ করেছেন, সাফল্য পাইয়ে দিয়েছেন দলকে। আর তারপরেই তাকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করে বড়সড় জায়গা দিয়ে সম্মানিত করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বাভাবিকভাবেই যারা কাজ করবেন এবং সংগঠনকে চাঙ্গা করতে পারবেন, তাদেরকে বিজেপি অবশ্যই সম্মান দেবে বলে দাবি করছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

সামনে 2021 এর মহাযুদ্ধ রয়েছে। তাই সেখানে যদি জেলা থেকে শুরু করে একদম বুথের নেতারা শুধুমাত্র নিজেদের পদ আগলে বসে থাকেন, তাহলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। তাই যারা দক্ষ, সাংগঠনিক ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়ে দলকে সাফল্য পাইয়ে দিতে পারবেন, তাদেরকেই এবার দায়িত্বে বসিয়ে যারা অপ্রাসঙ্গিক তাদেরকে বিশ্রামে পাঠিয়ে দিতে পারে গেরুয়া শিবির। সবমিলিয়ে অমিত শাহের বঙ্গ সফরে এই সমস্ত কিছু বিষয় এবং সংগঠনকে চাঙ্গা করার জন্য বেশকিছু রদবদল করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!