এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আসছে বিধানসভা! হেভিওয়েট নেতার বিদ্রোহী মনোভাবে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে, জেনে নিন

আসছে বিধানসভা! হেভিওয়েট নেতার বিদ্রোহী মনোভাবে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চলতি বছরেই রয়েছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে এনডিএ জোটবদ্ধ বিজেপি ও জেডিইউ এর মধ্যে আসন সংখ্যা নিয়ে রীতিমতো দরকষাকষি শুরু হয়েছে।

এই নির্বাচনে নিজের জেডিইউ ১১৫ টি আসনের দাবি জানিয়েছে। বিজেপিকে তারা ১২৮ টি আসন ছেড়ে দিতে ইচ্ছুক। তাদের দাবি বিজেপিকে এই ১২৮ টি আসনের মধ্যে থেকেই রামবিলাস পাসোয়ানের এলজেপি দলের জন্য কিছু আসন ছেড়ে দিতে হবে। অন্যদিকে জেডিইউ তাদের দাবি করা ১১৫ টি আসনের মধ্যে থেকে কিছু আসন ছেড়ে দিতে ইচ্ছুক জিতনরাম মাঝির দলকে।

জেডিইউ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গত ২০১০ সালে বিধানসভা নির্বাচনে শুধুমাত্র বিজেপির সঙ্গে তাদের জোট হয়েছিল। এর ফলে আসন রফা নিয়ে তাদের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। আবার গত ২০১৫ সালের নির্বাচনে মহাজোটের শরিক হয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা। সেবার তারা ১০১ টি আসনের মধ্যে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু এবারে তারা এনডিএ জোটের শরিক হয়েছেন। তাই তারা ১১৫ টি আসনের দাবি জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তারা এটাও জানিয়েছে যে, তাদের ১১৫ আসনের কোটা থেকেই তারা জিতনরাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়াম লিগ (সেকুলার) এর জন্য আসন রফা করতে ইচ্ছুক।

অন্যদিকে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আসন রফা সম্পর্কে বিজেপির জনৈক নেতা জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি দিল্লিতে বিজেপি ও জেডিইউ দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আসন রফা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে, কোন দল কতটা আসন পাবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো গ্রহণ করা হয় নি। এভাবে এনডিএ জোটের এই দুই মধ্যমনির আসন সংক্রান্ত দর কষাকষি শেষ পর্যন্ত কোন দিকে পৌঁছায় তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এনডিএ জোটের এই দুই দলের আসল সম্পর্কিত দরকষাকষির মধ্যেই বিহারের জন্য বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নতুন প্রকল্প গুলির মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো ১.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কোশী রেলসেতু । এই সেতু ছাড়াও আরও ১১ টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।

নতুন উদ্বোধন হওয়া এই প্রকল্প গুলির জন্য মোট ৩০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হলো। প্রসঙ্গত এই কোশী রেলসেতু দীর্ঘকালের দাবি ছিল বিহারবাসীর। সাড়ে আট দশকের বেশি সময় অপেক্ষার পর বিহারের মিথিলাঞ্চলের মানুষে পেল এই সেতুটি। এজন্যেই এই সেতুটি চালু হওয়ার মুহূর্তকে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী।আবার ভারত-নেপাল সীমান্ত বারবার এই সেতুটি অবস্থিত বলে দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

এই সেতু উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ” এই সেতুটি অনেক আগেই চালু হওয়া উচিত ছিল। এটি নিছক সেতু নয়, এই অঞ্চলের সমৃদ্ধি জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। ২০০৩ সালের ৬ জুন কোশী রেল মহাসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ি। সেই সময় রেলমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ কুমার। কিন্তু ২০০৪ সালের পর সেতুর কাজ আর এগয়নি। কাজ গতি পায় ২০১৪ সালের পর। নীতীশজির মতো সহযোগী থাকলে যে কোনও কাজ দ্রুত শেষ করা সম্ভব।”

এভাবে যখন বিহারের আসন সংখ্যা নিয়ে তুমুল দরকষাকষি চলছে জেডিইউ ও বিজেপির মধ্যে, সেই আবহে মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এই প্রশংসাবাণী যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!