এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > আসছে খুশির ঈদ, করোনা বিধি একটু শিথিলের জন্য প্রশাসনের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আমজনতা

আসছে খুশির ঈদ, করোনা বিধি একটু শিথিলের জন্য প্রশাসনের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আমজনতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই রয়েছে খুশির ঈদ। গতবছর লকডাউন জারি থাকার ফলে ঈদের আনন্দ প্রায় পুরোটাই মাটি হয়েছিল, জমে ওঠেনি ঈদের বাজার। মাথায় হাত পড়েছিল ব্যবসায়ীদের। গতবছরের লোকসান এ বছরে পুষিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা ছিল ব্যবসায়ীদের। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আবার আছড়ে পড়েছে রাজ্যজুড়ে। যে কারণে রাজ্যের সর্বত্র চলছে আংশিক লকডাউন। বাজারের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। এই পরিস্থিতিতে ঈদের জন্য নিয়মের কিছুটা ছাড়পত্র চাইছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।

ঈদ সামনে এসে পড়ায় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বত্র চলছে ঈদের প্রস্তুতি। নানা দ্রব্যাদি কিনতে বাজারে, দোকানে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে আংশিক লকডাউন থাকার ফলে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে বাজারের ক্ষেত্রে। তবে, তার মধ্যেও চলছে বেচাকেনা। মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ মহাকুমার বিভিন্ন স্থানে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। তবে জেলার করোনা পরিস্থিতিও সন্তোষজনক নয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ এই জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে, এরমধ্যেও ঈদের বাজারে আসছেন মানুষ।

শুধুমাত্র লালবাগ নয় জিয়াগঞ্জ, ভগবানগোলা, লালগোলাতেও বহু মানুষ আসছেন ঈদের বাজার করতে। জামা, কাপড়, জুতো, প্রসাধনী সামগ্রী কিনতে আসছেন বহু মানুষ। রাজ্যে দুর্গাপূজার সময় ও ঈদের সময় ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখেন। গতবছরের ঈদের বাজারের ক্ষতি এবছর পুষিয়ে নিতে চান ব্যবসায়ীরা। কিন্তু করোনার কারণে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই চলছে বেচাকেনার পালা। ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে একটু ছাড় দিক প্রশাসন, চান সকলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

লালবাগের এক বস্ত্র ব্যবসায়ী জানালেন, এই শহরের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ বাসিন্দা হলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভুক্ত। ঈদের সময় সমস্ত পরিবার তাদের সাধ্যমতো কেনাকাটা করে থাকেন। ঈদের সময়ে লাভের মুখ দেখেন ব্যবসায়ীরা। অপর এক ব্যবসায়ী জানালেন, মহিলা ক্রেতারা তার দোকানে অধিক সংখ্যায় এসে থাকেন। দেখে দেখে তাদের পছন্দমতো জিনিস কিনতে কিছুটা সময় চলে যায়। তাই সরকার যদি কিছুটা নিয়ম নীতি শিথিল করে অধিক সময় তাদের দোকান খোলার সুযোগ দেয়, তবে তারা উপকৃত হন।

এক ব্যবসায়ী জানান, প্রশাসনের থেকে সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। তাই অনেক সময় দেখা যাচ্ছে দোকান খোলার আগে সেখানে চলে এসেছেন ক্রেতারা। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে রাজ্যজুড়ে আংশিক লকডাউন চলছে। এ কারণে সকালে দু’ঘণ্টা, বিকেলে তিন ঘন্টা দোকান, বাজার খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। সময় খুব অল্প, তবে তার মধ্যেই চলছে কেনাবেচা। প্রসাধনী ও অন্যান্য জিনিস কিনতে আসা জনৈক মহিলা জানালেন, পছন্দমতো জিনিস কেনাকাটা করতে হলে সময় বেশি লাগে তাই সকাল সকাল তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন।

মুর্শিদাবাদ জেলার চেম্বার অব কমার্সের যুগ্ম সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য্য জানালেন, লকডাউন থাকার কারণে গত বছর বিক্রি-বাট্টা জমেনি। এবছর অবস্থা কিছুটা ভালো। তবে আরো কিছুটা সময় যদি দোকান খোলা রাখার অনুমতি ব্যবসায়ীদের দেয়া হয়, তাহলে উপকৃত হতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের দু সপ্তাহ আগে থেকে বাজারে কেনাবেচা বাড়তে থাকে । এসময় জামা, কাপড়, জুতো, অন্যান্য প্রসাধনীর ভালরকম বাজার থাকে। স্বাভাবিক সময়ে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ে দোকানে। এত বেশি ভিড় হয় যে ব্যবসায়ীরা তাল সামলাতে পারেন না। এ বছর ঈদের কথা চিন্তা করে সরকার যদি নিয়ম-নীতি কিছুটা শিথিল করে, তবে উপকৃত হন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!