এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আসছে মহালয়া! গঙ্গায় পিতৃ-তর্পন নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে প্রশাসন থেকে পুরসভা? জানুন বিস্তারে

আসছে মহালয়া! গঙ্গায় পিতৃ-তর্পন নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে প্রশাসন থেকে পুরসভা? জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সারাদেশে ক্রমশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যদিও সুস্থতার হারও ক্রমশঃ বাড়ছে। রাজ্যেও সেই একই ছবি। অন্যদিকে আগামী সপ্তাহে মহালয়া। ঠিক তার এক মাস পরে শুরু হচ্ছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। মহালয়ার দিন গঙ্গার ঘাটে জমা হন তর্পণকারীরা। একইভাবে দুর্গা পুজোতেও ব্যাপক জনসমাগম দেখা যায়। কিন্তু এবছর পরিস্থিতি অন্য। একসাথে বহু মানুষ এক জায়গায় জড়ো হওয়ার কোন প্রশ্নই নেই। করোনার হাত ধরে মানুষ আজ এক আতঙ্কের সম্মুখীন।

কিন্তু তার মধ্যেও এক পা এক পা করে এগিয়ে আসছে মাতৃ বন্দনার দিন। এবং সেই উপলক্ষে মানুষকে পরিষেবা দিতে এবার মহালয়ার দুদিন আগে প্রস্তুতি বৈঠকে বসতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। জানা গিয়েছে, পুরসভার মুখ্য প্রশাসক এবং পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পুজোর আগে রাস্তা মেরামতের ওপর জোর দিয়েছেন। এছাড়া পুলিশ, দমকল এবং উৎসবের দিনে পর্যাপ্ত বিদ্যুতের জন্য সিইএসসিকে নিয়ে মিটিংয়ে বসবেন পুরমন্ত্রী। এছাড়াও পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ, পূর্ত দপ্তর, কেএমডিএ বন্দর এবং এইচআরবিসিকেও এই বৈঠকে থাকতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন পুরমন্ত্রী।

রবিবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, রাস্তায় জল, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতেই এই প্রস্তুতি বৈঠক ডাকা হচ্ছে। উৎসবের মধ্যে যাতে সাবধানতা অবলম্বন করে বিপর্যয় এড়ানো যায়, সে কথা নিয়েই আলোচনা হবে এই বৈঠকে। অন্যদিকে মহালয়াতে গঙ্গার ঘাটে পিতৃতর্পণ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পুরসভা। এবং পুলিশ পুরসভার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে এদিন গঙ্গার ঘাটে যদি কেউ একা একা তর্পণ করতে যায়, তাহলে তাঁকে বাধা দেওয়ার কোনো আইনি নির্দেশ প্রশাসনের কাছে নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে পুরসভার পক্ষ থেকে প্রত্যেককেই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, যারা তর্পণ করবেন তারা যেন 6 ফুট দূরত্ব মেনে মুখে মাস্ক পড়েন এবং তর্পণকারী পুরোহিতরাও যেন দূরে দাঁড়িয়ে মুখে মাস্ক পড়ে নির্দেশ যেন। ইতিমধ্যেই মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম মহালয়ার ভোরে যাতে পুণ্যার্থীরা নিরাপদ এবং সুরক্ষার সঙ্গে তর্পণ করতে আসতে পারেন সেদিকে নজর দিতে বলেছেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের। একই সঙ্গে জলে দুর্ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তার জন্য ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এবং ডুবুরি টিম তৈরি থাকবে বলে জানা গেছে।

তবে করোনা পরিস্থিতিতে দুর্গোৎসব করা নিয়ে এমনিতেই উঠেছে প্রশ্ন। সেদিকে নজর দিয়ে কলকাতার পুজো কমিটিগুলির বৃহত্তম সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব এর সম্পাদক শাশ্বত বসু ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, গুজরাটে এখনো মারাত্মক রকমের করোনার দাপট রয়েছে। কিন্তু সেখানে গরবা উৎসব নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি সে তুলনায় অনেক ভালো। তাই বাংলাতেও পিতৃ তর্পণ এবং পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার এবং পুরসভা।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্গাপূজা এবং মহালায়াতে যে রাস্তায় ভিড় স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে তা অনস্বীকার্য। সুতরাং, এখন যা পরিস্থিতি রয়েছে করোনার, তার তুলনায় বেড়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। এবং এই পরিস্থিতিতে যদি পুরসভা পুরো ব্যাপারটি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে করোনাও অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে উঠবে। বাড়বে রাজ্যের সমস্যা। আপাতত বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব নিয়ে চলছে চূড়ান্ত টানাপোড়েন। এবার দেখার করোনার আতঙ্ক জেতে না বাঙালির উৎসবের টান জিতে যায়!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!