প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তরপ্রদেশে দীর্ঘ সময় ধরে চলছে মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্য, সম্প্রতি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। বিরোধীরা এমনই একাধিক অভিযোগ তোলে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এক বিশেষ দলীয় বৈঠক থেকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানালেন যে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কঠোর হাতে দমন করা হয়েছে রাজ্যের গ্যাংস্টার ও অপরাধীদের।

প্রসঙ্গত আগামী ৩ রা নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে উপনির্বাচন। এই ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম হলো মালহানি বিধানসভা কেন্দ্র। সম্প্রতি মালহানি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই কর্মীসভা থেকে বেশ কিছু বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।

সম্প্রতি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে বারবার সরব হয়েছে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন বিরোধী দলগুলি। মূলত হাথরাস কাণ্ডের পর থেকে বিরোধীরা আরও সরব হয়ে উঠেছে। রাজ্যে দুর্বৃত্তদের দলিতদের নিগ্রহের বিষয়েও বিরোধীদের অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যোগী আদিত্যনাথ জানালেন যে, যাদের উন্নয়নে আস্থা নেই, তারাই জাতি ধর্মের নামে গন্ডগোল বাধায়। রাজ্যের পরিবেশকে দূষিত করে দেয়। অর্থাৎ, তিনি বিরোধীদেরই অভিযোগের কাটগড়ায় তুললেন।

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, একটা সময়ে উত্তর প্রদেশ রাজ্যে রাজনৈতিক দলগুলির নিয়ন্ত্রণ ছিল মাফিয়া ও অপরাধীদের হাতে। তারাই দলগুলির সমস্ত নীতি নির্ধারণ করত। গরিব মানুষের জমি দখল করে তাদের হেনস্থা করতো। কিন্তু সম্প্রতি ‘নতুন উত্তরপ্রদেশে’ অপরাধীদের ও তাদের অপরাধ জগতকে চূর্ণ করে দিতে প্রতিজ্ঞা করেছে রাজ্য সরকার। এরসঙ্গেই তিনি জানালেন যে, উন্নয়নের কোন বিকল্প হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশে’র আদর্শে তিনি ও রাজ্য সরকার যে অনুপ্রাণিত সে কথাও তিনি জানালেন।

এই সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানালেন যে, উত্তর প্রদেশ রাজ্যে বর্তমানে যে দলটি প্রধান বিরোধীর ভূমিকায় অবতীর্ণ। সেই দল যখন ক্ষমতাসীন ছিল, সে সময় উত্তরপ্রদেশে অরাজকতা ও দুর্নীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গিয়েছিল। তাঁর দাবি বিরোধীরা যতই অভিযোগ করুক, যতই চেষ্টা করুক রাজ্যের মানুষ বিজেপি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির বিষয়ে যথেষ্ট ভাবে সচেতন ও আস্থাশীল।

এরসঙ্গেই তিনি জানালেন যে, করোনা সংক্রমণ কালেও এ রাজ্যের ৮৭ লক্ষ মানুষের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে পেনশন, ৪ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ, ৪১ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে গ্যাস। ভার্চুয়াল সভা থেকে এমনি একাধিক বিষয়ে বক্তব্য রেখে নির্বাচনের প্রচার ও সেইসঙ্গে দলের কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।