এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > আসছে একুশের মহাযুদ্ধ! বিজেপি-তৃণমূল ঝড় রুখে দিতে এবার সোশ্যাল মিডিয়াকেই হাতিয়ার বাম-কং-এর!

আসছে একুশের মহাযুদ্ধ! বিজেপি-তৃণমূল ঝড় রুখে দিতে এবার সোশ্যাল মিডিয়াকেই হাতিয়ার বাম-কং-এর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমান যুগ অনেকটাই সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যার কারণে তৃণমূল থেকে বিজেপি প্রতিটি রাজনৈতিক দল সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে তাদের বিভিন্ন প্রচার করতে ব্যস্ত। সামনে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেই করোনা পরিস্থিতিতে বেশি করে প্রচার করছে বাংলার শাসক-বিরোধী এই দুই রাজনৈতিক দল।

তবে সেভাবে সিপিএম বা কংগ্রেসকে এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সক্রিয় থাকতে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু এবার কালের নিয়মে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন সিপিএমের বর্ষিয়ান নেতা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। যার ফলে এতদিন প্রয়োজনের বেশি নিজের হাতে মোবাইল টুকু না রাখা বিমানবাবু এখন মাঝেমধ্যেই ফেসবুক লাইভে বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন।

জানা গেছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিপিএমের ছাত্র-যুবরা এতদিন ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে দলের পক্ষে প্রচার করলেও, সেভাবে দলের তরফে তেমন কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার সিপিএমের পার্টি চিঠিতে লিখে দেওয়া হচ্ছে, এরিয়া কমিটি বা শাখা স্তরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে কাজের সমন্বয় বাড়াতে হবে।একইভাবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও ফেসবুক, টুইটার ইনস্টাগ্রাম সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সিপিএমের রাজ্য স্তরের ডিজিটাল মাধ্যমে আহবায়কের দায়িত্বে রয়েছেন মহম্মদ সেলিম। অন্যদিকে কংগ্রেসে কমিউনিকেশন এবং সোশ্যাল মিডিয়া সেল নামে দুটো বিভাগ আছে। প্রথম বিভাগের সর্বস্তরে দায়িত্ব সামলেছেন রনদীপ সিং সূর্যেওয়ালা। আর রাজ্যে তার দায়িত্বে রয়েছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। অন্যদিকে জাতীয় স্তরে গোটা ব্যাপারটি তত্ত্বাবধান করছেন রোহন গুপ্ত। একইভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ারপার্সনের দায়িত্বে রয়েছেন মিতা চক্রবর্তী। কো অর্ডিনেটর হিসেবে রয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য এবং শুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতদিন রাজনৈতিক দলগুলো ময়দানকেই সবথেকে বেশি বেছে নিত মানুষের কাছাকাছি পৌঁছানোর জন্য। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি সহ একাধিক কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর বেশি প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তাই তৃণমূল এবং বিজেপি যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে, ঠিক তখনই সেখান থেকে পিছপা হতে চাইছে না বাম-কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন থেকে তৃণমূল- বিজেপিকে টেক্কা দিতে এবং বাম-কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে বাড়তি মনোযোগ দেওয়া হল বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে তৃণমূল, বাম এবং কংগ্রেস একযোগে অভিযোগ করছে, বিজেপি এই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে, তার মূলে রয়েছে অর্থ প্রভাব। কিন্তু তিন দলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, বিজেপিকে কুপোকাত করতে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভাব বাড়ানো ছাড়া যে অন্য কোনো উপায় নেই, তা কার্যত পরিষ্কার সকলের কাছেই। আর তাই আসল বিষয়টি উপলব্ধি করে এখন তৃণমূলের পাশাপাশি সিপিএম এবং কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সক্রিয় হতে শুরু করল‌। তবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার সবকটি রাজনৈতিক দল এইভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হতে শুরু করলে জনতা জনার্দন কাকে বেশি গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!