এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আশানুরূপ ফল পেয়েও আক্ষেপের সুর মমতার গলায়, চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে!

আশানুরূপ ফল পেয়েও আক্ষেপের সুর মমতার গলায়, চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নির্বাচনের আগের থেকে নির্বাচন পরবর্তী সময় পর্যন্ত বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে এবং বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের দাবি করে এসেছে একাধিক রাজ্য সরকার। বলা বাহুল্য, সেই সমস্ত রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে তিনি যেমন কেন্দ্রের কাছ থেকে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দাবি করেছেন, অন্যদিকে এই একই ইস্যুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

কার্যত কেন্দ্রের পরোয়া না করে রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে করোনার টিকা কিনে মানুষের মধ্যে সরবরাহ করতে উদ্যত হতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে। আর এহেন পরিস্থিতিতে যখন তৃণমূলের প্রথম সারির প্রায় সমস্ত নেতারা এমনকি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ভ্যাকসিনের দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন, সেই সময় জাতির উদ্দেশ্যে বড় ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি জানিয়ে দেন, আগামী 21 তারিখ থেকে ভ্যাকসিন নির্মাণকারী সংস্থার কাছ থেকে 75 শতাংশ ভ্যাকসিন কিনে নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে রাজ্যগুলোর মধ্যে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর এই ঘোষণার পরে যখন গোটা দেশে স্বস্তির বাতাবরণ, ঠিক তখনই আক্ষেপের সুর শোনা গেল তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।

সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর এদিনের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে একটি টুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি লেখেন, “ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে একাধিকবার আমি সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম। চার মাস পর অনেক চাপের পর তিনি শেষ পর্যন্ত আমাদের কথা শুনলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বিলম্বিত সিদ্ধান্তের জন্য অনেকগুলো প্রাণ চলে গেল।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক মহলের মতে, বিনামূল্যে করোনা টিকা ঘোষণার মধ্য দিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর বর্তমানে নরেন্দ্র মোদীর সামনে অন্যতম প্রধান বিরোধী মুখের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সরাসরি স্বাগত জানাতে পারলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই কিছুটা লাভ-হানির পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিলম্বিত বোধোদয় বলে দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে এক্ষেত্রে ভারতীয় জনতা পার্টির একাংশের নেতারা বলছেন, করোনা টিকাকরনের প্রথম দিন থেকেই ভারত সরকার যথেষ্ট স্বাবলম্বী ভাবে একদিকে দেশে টিকা তৈরি করেছে। আবার প্রয়োজনমতো রাজ্যগুলোর পাশে থেকেছে। সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝতে হবে, করোনা মহামারী কোনো আগাম সংকেত দিয়ে আসেনি। দেশ এরজন্য প্রস্তুতও ছিল না।

তবে অল্প সময়ের মধ্যে যে গতিতে টিকা তৈরি এবং বিতরণ করা হয়েছে, তা সত্যিই বিশ্বের মধ্যেই বিরল। সেদিক থেকে ভারত সরকারকে প্রশ্নবানে বিদ্ধ না করে তার পাশে থাকাই উচিত রাজ্য সরকারগুলোর বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরে টিকা-তরজা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!