এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আর ভয় নেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের, আবিষ্কার হয়ে গেলো ওষুধ, মানুষের নাগালের মধ্যে

আর ভয় নেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের, আবিষ্কার হয়ে গেলো ওষুধ, মানুষের নাগালের মধ্যে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিপদ বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। দেশের একাধিক রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী বলে ঘোষণা করে মানুষকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। সম্প্রতি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের যে ওষুধ বাজারে রয়েছে, তা অত্যন্ত দুর্মূল্য ও পর্যাপ্ত পরিমাণে তা দেশে নেই। তাই বিদেশ থেকে যাতে এর আমদানি বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার এই পরিস্থিতিতে সুলভ মূল্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ সামনে নিয়ে এলেন হায়দ্রাবাদের একদল গবেষক।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রতিষেধক হিসেবে এখন বাজারে রয়েছে অ্যামফোটেরিকিন বি। তবে এই ওষুধ দুর্মূল্য, এর প্রতিটি ভায়ালের দাম হল চার হাজার টাকা। একজন রোগীর চিকিৎসাতে ৬০ থেকে ১০০ টি ভায়ালের প্রয়োজন হয়। এই ওষুধ দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। তবে তার মধ্যেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অ্যামফোটেরিকিন বি ইনজেকশনের অতিরিক্ত ২৯ হাজার ২৫০ ভায়াল দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই পরিস্থিতিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সুলভ ওষুধ নিয়ে এলেন হায়দ্রাবাদ ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চের একদল গবেষক। হালকা এই ট্যাবলেট ৬০ মিলি গ্রাম ওজন বিশিষ্ট। প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ২০০ টাকা। গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই ওষুধের তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এই ওষুধ সেবন করলে কিডনিতে কোনরকম সমস্যা তৈরি হবে না বলেই, জানিয়েছেন গবেষকেরা।

এ প্রসঙ্গে হায়দ্রাবাদ ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চের অধ্যাপক সপ্তর্ষি মজুমদার ও ডা: চন্দ্র শেখর শর্মা জানালেন যে, এই ওষুধ সেবন করলে রোগীর মুখের মধ্যে ন্যানোফাইবার উৎপন্ন হয়। যা মিউকরমাইকোসিসকে নষ্ট করে দেবে। তাঁরা জানিয়েছেন, ব্যাপকভাবে এই ওষুধ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত। এই ওষুধের ওপর কোন কোন রকম স্বত্ব রাখা হচ্ছে না। তাই এই ওষুধ সহজেই উৎপাদন করা যাবে ও বিক্রয় করা যাবে। এই ওষুধ দ্রুত যাতে দেশের বাজারে চলে আসে, তার ওপর বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছেন গবেষকেরা।

দেশে যখন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সে সময়ে স্বল্প মূল্যের এই ঔষধ উদ্ভাবন করে আশার আলো দেখালেন হায়দ্রাবাদ আইআইটির গবেষকেরা। তাঁদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানালেন চিকিৎসক, বিজ্ঞানী ও গবেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!