আসাউদ্দিনের নজরে বাংলা, কোনো জেলার দিকে হাত বাড়াতে পারেন, জেনে নিন রাজনীতি রাজ্য November 15, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিহারের নির্বাচনে লড়াই করার পরেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তারা লড়াই করবে। এক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে যখন প্রতিমুহূর্তে মোকাবিলা করতে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে, তখন তাদের অন্যতম সম্পদ সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে যদি থাবা বসাতে উদ্যোগী হয় হায়দ্রাবাদের রাজনৈতিক দল আসাউদ্দিনের দল এআইএমআইএম, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস যে ব্যাপক চাপে পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বাভাবিকভাবেই বাংলায় এক সংখ্যালঘু রাজনৈতিক দলের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। আর এবার বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে যদি তারা লড়াই করে, তাহলে তাদের টার্গেটে রয়েছে কোন কোন জেলা, তা স্পষ্ট করে দিল মিম। বিশেষ সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর, মালদা এবং দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, উত্তর এবং দক্ষিণ 24 পরগনা তাদের প্রাথমিক টার্গেট। বলা বাহুল্য, এই সমস্ত জেলায় সংখ্যালঘুদের ব্যাপক আধিপত্য রয়েছে। তাই সেখানে প্রার্থী দিয়ে সংখ্যালঘু ভোটকে নিজেদের দিকে আনতে উদ্যত হবে মিম। বিশ্লেষকরা বলছেন, মিম যদি সত্যি সত্যিই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেয়, তাহলে তা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে চাপের কারণ। কেননা গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির থেকে কিছু আসন বেশি পেয়েছে সংখ্যালঘুদের সমর্থনের জন্য। সেক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের জন্য যদি একটি রাজনৈতিক দল প্রার্থী দেয়, তাহলে বেশিরভাগ সংখ্যালঘুদের সমর্থন তাদের দিকেই যাবে। যার ফলে লাভবান হতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। কেননা ভোট কাটাকুটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়ে যেতে পারে। আর এই আশঙ্কাতেই এখন ঘুম উড়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে একসাথে লড়াই করবার জন্য অবশ্য মিমের তরফে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রস্তাব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু মিমের তরফ এই ব্যাপারে প্রস্তাব গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেস সেই প্রস্তাবে রাজি হবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কেননা সংখ্যালঘুদের সমর্থন যদি এই রাজনৈতিক দলটি বেশি পায় এবং তারা যদি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলায়, তাহলে মন্ত্রিসভা গঠনে পরবর্তীতে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ফলে কিছু আসনের জন্য যদি এই জয়লাভ হয়ে যায় এবং তার পরবর্তীতে সেই মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে যদি অসন্তোষ তৈরি হয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও চাপের মুখে পড়তে হতে পারে। সেদিক থেকে এই সমস্ত সমীকরণের উপর নির্ভর করে আদৌ তৃণমূল কংগ্রেস এই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করবে কিনা, তা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। তবে যদি সত্যিই পৃথকভাবে বেশকিছু জেলাকে টার্গেট করে নিয়ে মিম এগোতে শুরু করে, তাহলে তা সবথেকে বেশি চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে ঘাসফুল শিবিরের পক্ষে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -