এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > অসুস্থ মুকুল! অভিজ্ঞতার নিরিখে বাংলার বিরোধী দলনেতার দৌড়ে এগিয়ে শুভেন্দু!

অসুস্থ মুকুল! অভিজ্ঞতার নিরিখে বাংলার বিরোধী দলনেতার দৌড়ে এগিয়ে শুভেন্দু!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিজেপি আশা করেছিল, এবার তারা 200 আসন নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করবে। তবে তাদের সেই আশায় জল পড়ে গিয়েছে। 200 আসন দখল করা তো দূরের কথা, 77 টি আসন দখল করেই কার্যত সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তবে 2016 সালে তিনটি আসন দখল করা বিজেপি 5 বছরের মধ্যেই 77 টি আসন দখল করে বাম, কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে পেছনে ফেলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধী দল হিসেবে বিধানসভায় পা রাখতে চলেছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা কে হবেন, এখন তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে।

ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নাম সামনে আসতে শুরু করেছে। বলা বাহুল্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়কার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মুকুল রায় এবার বিজেপির প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন। ফলে প্রথম তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসে যিনি ঘাসফুল শিবিরের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিলেন, সেই মুকুল রায় বিজেপির বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব দিতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু অসুস্থ থাকার কারণে মুকুল রায়কে বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব নাও দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেদিক থেকে এই বিরোধী দলনেতার পদ লাভ করার জন্য সবথেকে বেশি যার নাম নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, তিনি হলেন শুভেন্দু অধিকারী।

বস্তুত, বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাকে দাড় করিয়ে বিজেপি সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের শেষ হাসি হেসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই এবার দল ক্ষমতায় না আসলেও, তাকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা করে বিজেপি বিধানসভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাপ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলেই মনে করছেন একাংশ।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও পরিষদীয় রাজনীতিতে অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে বিজেপির অন্যান্য বিধায়কদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন এই শুভেন্দু অধিকারী। কারণ দীর্ঘদিন তিনি বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও লোকসভার সাংসদ ছিলেন তিনি। তাই একদিকে মুকুল রায় এবং অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে যে কেউ একজন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে মুকুল রায় বা শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও বেশকিছু নাম নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ী। এছাড়াও নিশীথ প্রামানিক, স্বাধীন সরকার থেকে শুরু করে জগন্নাথ সরকারদের মত ব্যক্তিদের নাম উঠে আসছে। তবে সব থেকে বেশি মুকুল রায় বা শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যেই যে কোনো একজনকে বিরোধী দলনেতা করে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে কৌশল গ্রহণ করতে পারে গেরুয়া শিবির বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে বিধানসভার অলিন্দে তৃণমূলের চাপ বাড়াতে এবং নিজেদের প্রতিবাদী মনোভাব জিইয়ে রাখতে বিজেপির পক্ষ থেকে কাকে বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!