এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > “অসহিষ্ণুতার প্রতীক মমতা” বিস্ফোরক নাড্ডা!

“অসহিষ্ণুতার প্রতীক মমতা” বিস্ফোরক নাড্ডা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বুধবার তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার আগে ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিরোধী শক্তি বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যার জেরে দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে রাজ্যে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

আর তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরই যেভাবে তাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে, এবার সেই বিষয়ে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। যেখানে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের হবু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “অসহিষ্ণুতার প্রতীক” বলে দাবি করলেন তিনি। আর তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি, তাতে তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যের শাসকদল যে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বস্তুত, মঙ্গলবার রাজ্যে এসে বিজেপির নিহত নেতা কর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আর সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তিনি। জেপি নাড্ডা বলেন, “মমতাজি শান্তির কথা বলেন। এখন ভোটের পর এসব হচ্ছে রাজ্যে। আসলে উনি যে শান্তির কথা বলেন, তার সবটাই নাটক। এই নাটকের কথা সবার সামনে তুলে ধরা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করছেন, তা বাংলার সংস্কৃতি নয়। আমি আগেই বলেছিলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংস্কৃতির প্রতিনিধি নন। তিনি অসহিষ্ণুতার প্রতীক।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর যেভাবে তৃণমূল নেত্রীকে অসহিষ্ণুতার প্রতীক বলে কটাক্ষ করলেন জেপি নাড্ডা, তা রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্যজুড়ে।

একাংশ বলছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের রাজনৈতিক আক্রমণকে জিইয়ে রাখার চেষ্টা করলেন। অর্থাৎ বিরোধী আসনে বসলেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই যে জারি থাকবে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া আক্রমণের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন জেপি নাড্ডা।

স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে যে জলঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রত্যেকেই। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!