এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > আসন রফা নিয়ে নয়া সংকট বাম-কংগ্রেস জোটে, আব্বাসের আচরণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

আসন রফা নিয়ে নয়া সংকট বাম-কংগ্রেস জোটে, আব্বাসের আচরণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে যখন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং গেরুয়া শিবির একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে কোমর বেঁধে নেমেছে আসরে, ঠিক সেই সময় বাম ও কংগ্রেসও জোট বেঁধে এবারের নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায়। কিন্তু বাম-কংগ্রেস জোট বাঁধলেও শেষ মুহূর্তে সেই জোটে আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট যোগ দেবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। আর তাই নিয়েই বাড়ছে জটিলতা। জানা গিয়েছে, আব্বাস রাজ্যের 294 টি আসনের মধ্যে 70 টি আসনের দাবি করেছে। এদিকে সিপিএম জানিয়ে দিয়েছে, তাঁদের তরফ থেকে 27 টি আসন তাঁরা দিতে পারবে। তাহলে বাকি আসন কংগ্রেসকে দিতে হয়। কিন্তু কংগ্রেস আব্বাস সিদ্দিকীর দাবিকে আমল দিতে মোটেই রাজি নয়।

পাশাপাশি বাম শরিকরাও এবার প্রশ্ন তুলেছেন, আব্বাসের আচরণ নিয়ে। প্রসঙ্গত, বাম নেতারা যে সাতাশটি আসনের ঘোষণা করেছেন, তার মধ্যে শরিকদেরও 7 টি আসন রয়েছে। যেখানে ফরওয়ার্ড ব্লকের 4 টি, আরএসপির দুটি এবং সিপিআইয়ের একটি আসন রয়েছে। আর এই নিয়েই এবার  বাম শরিকরা নিজেদের আপত্তি প্রবলভাবে জানিয়েছে। পাশাপাশি আব্বাসকে কেন এত প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছে শরিকরা। অন্যদিকে আব্বাস ইতিমধ্যেই 70 টি আসন দাবি করে রীতিমতো আল্টিমেটাম দিয়েছে। সূত্রের খবর, 70 টি না হলেও অন্তত 50 টি আসন তাঁদের অবশ্যই চাই বলে দাবী এসেছে।

এবং যে সাতটি জেলায় আইএসএফকে আসন চাইছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, নদীয়া এবং উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা। পাশাপাশি আব্বাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দাবি পূরণ করে তাঁদের আসন দেওয়া না হলে তাঁরাও বাম-কংগ্রেস জোটে সামিল হবেন না। অন্যদিকে সদ্য তৈরি হওয়া দলের আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মালদায় এবং মুর্শিদাবাদে আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে আসন দেওয়া কোন মতেই সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের বক্তব্য- আব্বাস সিদ্দিকী মালদার সুজাপুরে যেমন আসন দাবি করছে, সেরকমই বীরভূমেও জনপ্রিয় নেতা মিল্টন রশিদের আসন দাবি করছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি জলঙ্গীর মতন আসন সিপিএমের ছেড়ে দেওয়া নিয়ে বামেদের দিকেও রীতিমতো প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস। অন্যদিকে আসন রফা নিয়ে হওয়া একটি বৈঠকেও এখনো পর্যন্ত হাজির হননি আব্বাস সিদ্দিকী। পাশাপাশি কংগ্রেস হেভিওয়েট নেতা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে দেখা না করা এবং তাঁর ফোন না তোলা নিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে নতুন দলের আচরণ নিয়ে। শনিবার আসন বন্টন নিয়ে আবারও নতুন করে আলোচনায় বসতে চলেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য। তবে আব্বাসের দলকে বামেরা ইতিমধ্যেই জোটে স্বাগত জানিয়ে 27 টি আসনের অঙ্গীকার করে ফেলেছেন।

অন্যদিকে, কংগ্রেস কোনমতেই আব্বাস সিদ্দিকীর দাবি মানতে ইচ্ছুক নয়। সব মিলিয়ে বাম-কংগ্রেস জোট হলেও আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে জোট কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট সন্দেহ থাকছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি বাম শরিকরাও যেভাবে আসন বন্টন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তাতে বামেরাও এবার চাপের মুখে বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত দেখার, আজকের বৈঠকে বাম কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আসন বন্টন নিয়ে কোন রফাসূত্র বেরোয় কিনা!

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!