এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অসমের নাগরিকপঞ্জী নিয়ে এবার মুখ খুলতে শুরু করলেন বিদ্বজনেরা,চাপ বাড়ছে কি সরকারের?

অসমের নাগরিকপঞ্জী নিয়ে এবার মুখ খুলতে শুরু করলেন বিদ্বজনেরা,চাপ বাড়ছে কি সরকারের?


রাতারাতি অস্তিত্ব সংকট অবস্থার শিকার হলেন অসমে থাকা ৪০ লক্ষ বাঙালি। জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর দ্বিতীয় তালিকা থেকে বাদ পড়ল তাঁদের নাম। অথচ খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে,এঁদের অধিকাংশই পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে অসমে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন । এঁদের কাছ থেকেই প্রমাণস্বরূপ এমন কিছু নথি চাওয়া হয়েছে,যা দেখাতে না পারলেই ডি-ভোটারের তালিকায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। এই ঘটনার জেরে বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে প্রতিবাদী ভূমিকায় দেখা গেলো বাংলার শাসকদল ও বিরোধীদের। এঁদের সঙ্গে একসুরে তাল মেলাতে দেখা গেলো বিদ্বজ্জনদের। সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বঙ্গের বিখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ  এই ঘটনাকে ‘দেশের জাতীয় সংকট’ বলে ব্যাখ্যা করলেন এদিন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

বিবৃতিতে জানালেন, অনেকদিন ধরে এই সমস্যা নিয়ে আশঙ্কা করছিলেন তিনি। এটা এখন দুর্ভাগ্যক্রমে সত্যি হয়ে গেলো। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি এটাও জানালেন, স্বাধীনোত্তর ভারতে এররকম ঘটনা এই প্রথমবার হল। জাতীয় সংকট হবে এর ফলে। বাড়বে ধর্মে ধর্মে বিরোধ,পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে রাজ্যে রাজ্যেও বিভেদের প্রচীর চওড়া হবে। এদিন প্রখ্যাত এই কবি বিজেপির বিরুদ্ধেও একরকম আলগা অভি্যোগ তুলে জানালেন,দেশে অসহিষ্ণুতার আবহ তৈরি করা হচ্ছে। এর আগেও কবি নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটির মিটিং এরকমই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন।

নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় সমিতি এর আগে দাবীতে জানিয়েছিলো,এআরসি নিয়ে অসমে তৈরি হওয়া উদ্বেগের পরিস্থিতি শুধুমাত্র কোনো রাজনৈতিক পরিস্থিতি নয়,এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে সাম্প্রদায়িক হিংসা। পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও অভিযোগে জানিয়েছিলো,সরকারী কর্মচারীদের হাতে জনে জনে হেনস্থা হতে হচ্ছে বাঙালিদের। তবে রাজ্যের বেশ কিছু জনগনের দাবী,অসম জুড়ে নাকি ‘বাঙালি,শুদ্ধিকরণ’ শুরু হয়েছে। যাঁরাই এনআরসির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন,তাঁদেরকে ডি-ভোটার বা ডাউটফুল ভোটাদের তালিকায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য,অসম সরকারের এক মন্ত্রী বেশ কিছুদিন আগে দাবী করেছিলেন যে, এইসব ডি-ভোটাররা প্রকৃতই বাংলাদেশের বর্ডার পেরিয়ে এসেছেন। এসব উদ্বাস্তুদের আবার সেখানেই ফেরত পাঠানো হবে। তারপরই ঘটনাচক্রে, একইসঙ্গে ৪০ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ পড়ায় বিষয়টিকে ‘বিষ্ময়ের’ বলে দাবী করে এর পেছনে কেন্দ্র এবং রাজ্যসরকারের মদত থাকার সম্ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দিল না নাগরিক সমন্বয় সমিতি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!