আর তিন মাস পরেই কি রাজ্যে বিধানসভা ভোট হতে চলেছে রাজ্যে , কৈলাসের মন্তব্যে জল্পনা জাতীয় রাজ্য April 26, 2019 তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার পরই মুকুল রায় দাবি করেছিলেন, লোকসভা ভোটের পর রাজ্যের সরকারটি পড়ে যাবে। যার কারণ হিসেবে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভালো ফলাফল এবং সেই ভালো ফলাফলের জন্য বিজেপিতে তৃণমূলের অনেক বিধায়ক আসবে বলেও দাবি করেন তিনি। আর বর্তমানে রাজ্যের লোকসভা ভোটকে ঘিরে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে রাজনীতি। আর রাজনীতির পারদ যত চড়তে শুরু করেছে ততই শাসক বনাম বিরোধীর বাকযুদ্ধে সরগরম হয়ে উঠছে বাংলা। একদিকে কেন্দ্রের মসনদ থেকে বিজেপিকে সরাতে বাংলার 42 টি লোকসভা আসনের মধ্যে 42 টি লোকসভা আসনই নিজেদের দখলে রাখবার জন্য যখন সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে আবেদন জানাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই বাংলায় গেরুয়া ঝড় তুলে এই রাজ্য থেকে বিপুলসংখ্যক আসন নিজেদের দখলে আনবার জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বাংলার মোট দশটি লোকসভা কেন্দ্রে এই নির্বাচন শেষে এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের স্থায়িত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিতে দেখা গেল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। সূত্রের খবর, এদিন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের হয়ে একটি সভা করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আর সেখানেই তিনি বলেন, “আগামী 23 মে নির্বাচনের ফলাফলের পর তৃণমূল বিধায়করা দলবেঁধে বিজেপিতে যোগ দিতে শুরু করবেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়ু আর বড়জোর তিন মাস।” কিন্তু হঠাৎ এভাবে কেন নিশ্চিত হচ্ছেন এই বিজেপি নেতা, তা নিয়েও নানা মহলের তরফে উঠতে শুরু করছে প্রশ্ন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিজেপির দাবি, লোকসভা নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত যেকটি আসনে ভোট হয়েছে, তার প্রত্যেকটিতেই বিজেপি জয়লাভ করবে। আর তাই এবারের লোকসভা ভোটে জয়লাভের পর তৃনমূলের অনেক বিধায়কই দলবদল করবে। অন্যদিকে বিজেপির এই দাবিকে সম্পূর্নভাবে উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল। তৃনমূলের দাবি, বাংলায় ক্ষমতা দখল তো দূর অস্ত, বিজেপি লোকসভায় শূন্য পাবে। আর শাসক বনাম বিরোধীর এই দাবি পাল্টা দাবিকে ঘিরেই এখন সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। এদিকে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক সাক্ষাৎকারে “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে কুর্তা এবং মিষ্টি পাঠান” বলে মন্তব্য করেন। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও প্রধানমন্ত্রীকে মিষ্টি ও কুর্তা পাঠানোকে রাজনৈতিক সৌজন্য বলে দাবি করেছিলেন। এই ঘটনাকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও রাজনৈতিক সৌজন্য বলে বর্ণনা করেন। তাঁর মতে বিরোধীদের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই থাকতে পারে, কিন্তু ব্যক্তিগত বিরোধী থাকা উচিত নয়। এই শিক্ষা তারা অটলবিহারী বাজপেয়ীর কাছ থেকে পেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে দিনের শেষে লোকসভা নির্বাচনের মরসুমে “আগামী তিন মাসের পর বাংলার সরকার পরে যাবে” বলে এই হেভিওয়েট বিজেপি নেতার মন্তব্যে আদৌ বাস্তব কোনো প্রতিফলন হয় কিনা সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -