এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী কে হবে, তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে, পড়লো পোস্টার

বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী কে হবে, তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে, পড়লো পোস্টার

এখনও পর্যন্ত সেই ভাবে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। আর তার আগেই এবার করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী কে হবে, তা নিয়ে তীব্র আলোচনা চলছে সর্বত্র। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই পুরনো ঐতিহ্য অনুযায়ী বাজার এলাকায় স্থানীয় প্রার্থীর দাবি জানিয়ে পোস্টার পড়ে গিয়েছে।

পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে বেশ কয়েকটি নাম ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। আর এই ঘটনাতেই এবার তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যেখানে তৃণমূলকে শৃংখলাবদ্ধ দল হিসেবে দাবি করে নেতৃত্ব, সেখানে ভোট ঘোষণার আগেই যেভাবে স্থানীয় লোকেদের প্রার্থী করার ব্যাপারে কোথাও পোস্টার মারা হচ্ছে, আবার কোথাও বা সোশ্যাল সাইটে আলোচনা করা হচ্ছে, সেটা কি খুব একটা শৃঙ্খলার লক্ষণ!

বস্তুত, 2016 সালে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র জয়লাভ করলেও বর্তমানে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে তিনি সাংসদ হয়েছেন। ফলে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি শূন্য হয়ে রয়েছে। তাই সেই কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভোটের দিন ঘোষণা না হওয়ার আগেই যেভাবে প্রার্থী নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে, তা দেখে হতবাক সব মহলই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় করিমপুরের দুই ব্লকের সংখ্যালঘু দাপুটে এক নেতা, জেলার এক সংখ্যালঘু নেতা এবং এক মহিলা নেত্রীর নাম প্রার্থী করার ব্যাপারে দাবি জানানো হয়েছে। আবার কোথাও জেলার ভূমিপুত্র হিসেবে কাউকে প্রার্থী করার ব্যাপারে বলা হয়েছে।

অনেকে বলছেন, 1972 সালে এই করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অরবিন্দ মন্ডল বিধায়ক হওয়ার পর দীর্ঘ 44 বছর সেখানে কোনো ডানপন্থী দলের কেউ জয়লাভ করেনি। তবে গত 2016 সালে এখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জয়লাভ করেন মহুয়া মৈত্র। আর এবার সেই মহুয়া মৈত্র সাংসদ হয়ে যাওয়ায় এই করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি শূন্য হওয়ায় সেখানে নির্বাচনে কাকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।

কিন্তু এইভাবে কি প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগেই কারও নামে দাবি জানিয়ে তাকে প্রার্থী করানোর কথা বলা যেতে পারে! এদিন এই প্রসঙ্গে করিমপুর দুই তৃণমূল ব্লক সভাপতি রাজু মল্লিক বলেন, “দলের কেউ পোস্টার দেয়নি। এসব আসলে বিরোধীদেরই কাজ।”

কিন্তু একাংশের প্রশ্ন, যেখানে তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেখানে বিরোধীরা হস্তক্ষেপ করে কি করবে! আসলে এসব তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফসল বলে দাবি সমালোচক মহলের। সব মিলিয়ে করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে বিভিন্ন দাবি দেওয়ার মাঝে শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!