এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বাংলার সংগঠনে নতুন উদ্যোগ গেরুয়া শিবিরের

বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বাংলার সংগঠনে নতুন উদ্যোগ গেরুয়া শিবিরের


লোকসভা নির্বাচনে এবার বাংলায় তারা অভূতপূর্ব ফল করেছে। গত 2014 সালের নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি দুটি আসন পেয়েছিল। কিন্তু এবার সেই আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 18 টিতে। অন্যদিকে তৃণমূল গত 2014 সালে 42 টি লোকসভা আসনের মধ্যে 34 টি আসন দখল করলেও এবার গেরুয়া ঝড়ে তাদের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে 22 টিতে। আর বাংলায় বিজেপির এই অভূতপূর্ব সাফল্য পরই দিকে দিকে তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি গেরুয়া শিবিরের নাম লেখাতে শুরু করেছেন।

যা নিঃসন্দেহে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় বিজেপির সংগঠনের ক্ষেত্রে বড়মাপের অক্সিজেন যোগাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাংলায় গেরুয়া শিবির সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করে দিয়েছে। যেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী প্রায় 60 লক্ষ সদস্য সংগ্রহের টার্গেট নিয়েছে তারা। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত 50 লক্ষ সদস্য সংগ্রহ অভিযান সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।

কিন্তু শুধু সদস্য সংগ্রহ অভিযান করে বসে থাকলেই তো হবে না, আরও বেশি করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের কাছে তো পৌঁছতে হবে। আর তাই জনসংযোগ রক্ষার্থে এবার বাংলার অতিরিক্ত প্রায় 40 হাজার সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বিজেপি। সূত্রের খবর, গতকালই বিজেপির সংসদ সদস্যদের নিয়ে দু’দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শিবির অভ্যাসবর্গ সমাপ্ত হয়েছে। আর এই প্রশিক্ষণ শিবিরেই বাংলায় আরও যাতে বেশি করে জনসংযোগ করা যায়, তার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই রাজ্যের প্রতি বুথে গিয়ে যাতে বিজেপি তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে জনসংযোগ করতে পারে, তার জন্য এবার রাজ্যের প্রায় 40 হাজার সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে তারা। ইতিমধ্যেই বাংলার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ “মিশন 2021” এর লক্ষ্যে পশ্চিমবাংলায় বিজেপির অন্তত এক কোটি নতুন সদস্য সংগ্রহের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন।

এমনকি সদ্যসমাপ্ত প্রশিক্ষণ শিবিরে বাংলা থেকে বিজেপির যে 18 জন সাংসদ জয়লাভ করেছেন, তারা তাদের সংসদীয় ক্ষেত্রে অর্থাৎ সাতটি বিধানসভা এলাকায় পৃথক পৃথকভাবে গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে পারেন তার কথাও বলা হয়েছে। কেননা সাংসদদের কাজ দেখেই মানুষ বিধানসভায় তাদের মতামত দেবেন। ফলে সাংসদরা যাতে ভালো পারফর্মেন্স করেন, তার জন্যও গাইডেন্স বেঁধে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু বাংলায় বিজেপির জনসংযোগের ক্ষেত্রে 40 হাজার কর্মী নিয়োগের ঘটনা কি সত্যি!

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের জন্য নিযুক্ত দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহনেতা সুরেশ পূজারী বলেন, “দলের কেন্দ্রীয় নেতারা পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করেছেন। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে 42 টির মধ্যে বাংলায় 18 টি আসনে বিজয়ী হওয়ার পর দল মনে করছে, আর দু’বছর পরে পশ্চিমবাংলার বিধানসভা নির্বাচনেও রাজ্য সরকার গঠন সম্ভব। কিন্তু তার জন্য কিছু রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করতে হবে। যার মধ্যে অন্যতম জনসংযোগ। তাই অতিরিক্ত সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগ করে বাংলায় সেই জনসংযোগে বেশি করে জোর দেওয়া হচ্ছে।” সব মিলিয়ে এবার বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে 40 হাজার সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগের বড়সড় সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবিরের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!