আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘুটি সাজাতে শুরু করল বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্য June 7, 2019 বাংলায় এবার সমস্ত রাজনৈতিক পরিসংখ্যান, পুরনো অংক গণিত সবকিছুকে প্রায় চমকে দিয়ে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। শতাংশ হিসেবে 45 শতাংশ, আর আসন সংখ্যা 18। বিরোধী হিসাবে একেবারে শাসকের প্রতিপক্ষের স্থান অর্জন করেছে গেরুয়া শিবির। নজর রাখার মত নিজেদের বৃদ্ধির হার 9% বাড়িয়ে নিঃশ্বাস ফেলছে শাসকের ঘাড়ে। যে কারণে বাংলা রাজনীতির মাইলস্টোন তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হচ্ছে। যেটা শুধু বাংলার রাজনীতিতে বিরল নয়, কিছুটা হলেও স্বভাব বিরুদ্ধ আচরণ তৃণমূল নেত্রীর পক্ষে। কিন্তু সারা বাংলায় বিজেপির এই তাক লাগানো ফল কি শুধুই হাওয়া, শুধুই প্রপোগান্ডা! নাকি পেছনে রয়েছে সুদীর্ঘ রণকৌশল! প্রসঙ্গত, গত 2014 সালে ভারত দখল করার পরে প্রায় প্রত্যেকটি রাজ্যতেই পদ্ম চাষ করার সিদ্ধান্ত নেয় পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের কর্তা ব্যক্তিরা। আর এরপর ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যগুলোতে সাফল্য, আর তারপরে তাদের টার্গেট হয়ে পড়ে 42 আসন বিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গ। শুরু হয় রণকৌশল। একদিকে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কারিগরেরা, অন্যদিকে একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড নামে পরিচিত মুকুল রায়, রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৈলাশ বিজয় বর্গী এবং তার পাশাপাশি অন্যতম একটি চর্চিত নাম সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা যায়, 1984 সালে আরএসএসের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে যোগ দেন। মৃদুভাষী, উচ্চগতিসম্পন্ন সুব্রতবাবু বরাবরই নজর কেড়েছেন বিজেপি শীর্ষকর্তাদের। 2005 সালে অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে আন্দোলন করতে গিয়ে 24 দিন কারাবাসে কাটাতে হয় তাকে। এছাড়াও বহু আন্দোলনের ইতিহাস রয়েছে তার। আর তাই 2014 সালের পর থেকেই তাকে বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপি শীর্ষে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করে । দলের অন্দরে কেন্দ্রের বিপুল সাফল্যকে সামনে রেখে সেই সময় শুধুই বাংলায় পথ এগিয়ে যাওয়াই ছিল প্রধান লক্ষ্য। সংগঠন বলতে ছিল না কিছুই। একসময় ঘাটালে যখন এই সুব্রতবাবু মহকুমা সামলাচ্ছেন, ঠিক তখন রাজ্য বিজেপির বর্তমান সভাপতি দিলীপ ঘোষ জেলা সংঘের প্রচারক হিসেবে ছুটে বেড়াচ্ছেন। আর সুব্রত-দিলীপের এই জুটি রাজ্যের গেরুয়া ভবনের একটি অত্যন্ত পুরনো জুটি। তাই পরবর্তীতে সংগঠনের রাশ চলে আসে তাদেরই হাতে। নতুন করে এই জুটির কাজে গোটা রাজ্যে 450 টি মন্ডলে এক লাফে পৌঁছে যায়। 1238 টিতে ফল পাওয়া যায় হাতে নাতে। দুই থেকে এক লাফে 18, আর সামনের দিনের প্রবল বিজয়ের আশা রয়েছে বিজেপির। সূত্রের খবর, এবার এই জুটির ফর্মুলা অনুযায়ী আগামী বিধানসভার আসরে নামবে গেরুয়া শিবির। অর্থাৎ সামনে থেকে লড়াই করবে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় কৈলাস বিজয়বর্গীয় আর পর্দার আড়ালে সংগঠনের দায়িত্বে থাকবেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। কারণ তার দক্ষ সংগঠন ক্ষমতার উপরে যে বরাবরই আস্থা রেখেছে দল। ইতিমধ্যেই আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে পদ্ম ফোটাতে নানা রণকৌশল সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। তবে তার সেই কৌশল বাস্তবের মাটিতে কতটা ফলপ্রসূ হয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -