বিধানসভা ভোট হবে আগামী বছর মার্চ মাসে? হেভিওয়েট বিজেপি নেতার কথায় জল্পনা তীব্র বাংলা জুড়ে! জাতীয় রাজ্য August 17, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে করোনা সংক্রমনের ঘোর ঘনঘটা মধ্যেই শোনা যাচ্ছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পদধ্বনি, যা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে চলেছে। তবে করোনার আবহে আদেও রাজ্যে নির্বাচন সম্ভবপর হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান আছেন অনেকেই। কারণ করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে যদি সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউনের বিধি বলবৎ থাকে, সে ক্ষেত্রে ভোট অনুষ্ঠানের মত এতটা জনসমাগম কি করেই বা সম্ভব হবে এমনই প্রশ্ন যখন ঘোরাফেরা করছে বাংলার প্রায় প্রতিটি মানুষের মনে। ঠিক সেই আবহেই গত শনিবার স্বাধীনতা দিবসের রাতে এনআরআই ফর বেঙ্গল এর উদ্যোগে আয়োজিত একটি বিশেষ ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানালেন, “আগামী বছর মার্চেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট হবে।” এর সঙ্গে সঙ্গেই আত্মবিশ্বাসের সুরে তাঁকে বলতে শোনা গেল, “আগামী বছর ১৫ আগস্ট যখন আবার এই আলোচনা সভা হবে তখন বাংলায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী থাকবে।” বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এই বক্তব্যের পরেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গেছে। সেই সঙ্গে নানা জল্পনা ও কৌতূহল বাড়তে শুরু করেছে পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে। সবার মনে প্রশ্ন আসতে শুরু করেছে, তবে কি আগামী বছরের বিধানসভা ভোট এক মাস আগেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত বাংলার বিধানসভা ভোট যতই সামনে এগিয়ে আসছে ততই নিজেদের শক্তি বৃদ্ধিতে মন দিয়েছে বাংলার সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপিও নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টায় কোন কশুর রাখছে না। স্বাধীনতা দিবসের রাতে বাংলার আগামী নির্বাচনে প্রবাসী বাঙালিদের যোগদানের বিশেষ আবেদন জানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক সেইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। স্বাধীনতা দিবসে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাঙ্গালীদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এক বিশেষ আলোচনা সভায় যোগ দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলেন ‘এনআরআই ফর বেঙ্গল’ নাম প্রবাসী বাঙালিদের একটি মিলিত প্লাটফর্ম। এদিনের এই বিশেষ বৈঠকে সমগ্র পৃথিবীর মোট ৩০ টি দেশের ৫০ টি শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিরা সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে একত্রে মিলিত হয়েছিলেন। আর বিশ্বজুড়ে প্রবাসী বাঙালিদের এই সংযোগ সাধনের প্রধান হৃত্বিক ছিলেন ‘এনআরআই ফর বেঙ্গল’ এর প্রতিষ্ঠাতা যুধাজিত সেন মজুমদার। এই বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় প্রবাসী বাঙ্গালীদের বঙ্গভূমির তটে গৈরিক পতাকাতলেসমবেত হবার আহ্বান জানিয়ে বললেন, “বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা আজ বোমা-বন্দুকের বাংলা হয়ে গিয়েছে। বেআইনি অনুপ্রবেশ হচ্ছে। জাল নোটের কারবার চলছে। বাংলায় এমন সরকার দরকার যে সরকার বাংলার ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে আবার ফিরিয়ে দেবে। রাজ্যের কল্যাণে কাজ করবে। সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।” সেই সঙ্গেই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানালেন যে, এই বিধানসভা লড়াইতে সেনাপতিত্ব করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই আলোচনা সভায় প্রবাসী বাঙালিদের প্রতি রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, ” “বাংলায় বিজেপি কর্মীরা খুন হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুক্তির জন্য রক্ত দিতে হবে আমাদের। আমরা তার জন্য মন প্রস্তুত করেছি।” প্রসঙ্গত রাজ্য সভাপতি আরো জানালেন যে, উন্নয়ন যজ্ঞে সারাদেশের সঙ্গে হাত ধরা ধরি করে বাংলা চলুক, এমনটাই সকলের কামনা প্রসঙ্গত ‘এনারাই ফর বেঙ্গল’ ও বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এদিন শতাধিক প্রবাসী বাঙালি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বিশেষ বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। এই বৈঠকে নিউ ইয়র্ক, টরেন্টো, সানফ্রান্সিস্কো, সিডনি, মেলবোর্ন, হংকং, কানাডা, নাইজেরিয়া সহ আরও সহ আরো বহু দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাঙালিরা এই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও রাজ্য সভাপতির সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ ও ভাব বিনিময় হয়েছে বৈঠক আয়োজকেরা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত কিভাবে আগামীর পথে এগিয়ে চলছে তার পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা দিলেন এদিন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন,“আজ আত্মবিশ্বাসে ভরা ভারত। মানুষ ভরসা করছে মোদিকে।” অন্যদিকে, এই বিশেষ আলোচনা প্লাটফর্মে অংশগ্রহণ করা প্রবাসী বাঙ্গালীদের মধ্যে থেকে অনেকেই মনে করছেন যে, বর্তমানের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্য যদি একই শাসকদলের ছাতার তলে আসতে পারে, তবেই রাজ্যের উন্নয়নের কাজ ত্বরান্বিত হবে। সেইসঙ্গে তাঁরা এটাও মনে করছেন যে, বিজেপি হাতেই পশ্চিমবঙ্গের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভবপর হবে। আপনার মতামত জানান -