এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দুই রাজ্যের বিধানসভা ফলের আগেই বড়সড় স্বস্তি কংগ্রেস শিবিরের

দুই রাজ্যের বিধানসভা ফলের আগেই বড়সড় স্বস্তি কংগ্রেস শিবিরের

কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দলের পক্ষ থেকে সরকার এবং সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিরোধীদেরকে ফাঁসানোর অভিযোগ করে আসছে ভারতবর্ষের বিজেপি বিরোধী দলগুলি। তবে কেন্দ্রের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে বারবারই বিরোধীদের এই যুক্তিকে খন্ডন করা হয়েছে। কিন্তু নিজেদের অভিযোগেই থেকেছে বিরোধীরা।

অনেক ক্ষেত্রেই বিরোধীদলের অনেক হেভিওয়েট নেতাকে অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির দায়ে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তাদের গ্রেফতারি নিয়ে বিরোধীরা রীতিমত প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছে কেন্দ্র সরকারের ভূমিকাকে। কিন্তু তৎসত্ত্বেও নিজেদের ঘোষিত নীতিতে কোনরকম শিথিলতা আনেনি কেন্দ্রের ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার।

আর এবার 50 দিন আগে কর্ণাটক থেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া কালো টাকা পাচার কান্ড অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা শিব কুমারকে 25 লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করল দিল্লি হাইকোর্ট। যা নিয়ে রীতিমত উজ্জীবিত হয়েছে কংগ্রেস শিবির বলে খবর।

শুধু তাই নয়, ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে বিরোধীদের নেতাদেরকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ আরও একবার জাগিয়ে তুলতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস নেতাদেরকে। কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, আজই সদ্য জামিন পাওয়া কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা শিবকুমারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। দলীয় নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সাথে সাথে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে আগামী দিনে লড়াই করার বার্তা দিয়েছেন সোনিয়া।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই শিবকুমার জামিন পেলেও এখনও পর্যন্ত জেলমুক্ত হননি ভারতবর্ষের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত 5 সেপ্টেম্বর থেকে তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। জানা যায়, গতকাল সিবিআইয়ের করা মামলায় আদালতের কাছ থেকে জামিন পেয়েছেন চিদাম্বরম।

কিন্তু যেহেতু তাকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই এখনও পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকতে হবে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে বলে খবর। তবে একইভাবে শিবকুমারের মত চিদাম্বরমের সঙ্গেও ইতিপূর্বে দেখা করে এসেছেন কংগ্রেস অধ্যক্ষা সোনিয়া গান্ধী এবং সেই সাক্ষাৎকারে সোনিয়ার সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং।

পি চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করার সময় কংগ্রেস তথা ভারতবর্ষের অন্যান্য অনেক বিরোধী দলের তরফ থেকে এই কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিরোধী দলের নেতাদেরকে ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠে।কিন্তু সব অভিযোগকে যুক্তি দিয়ে খন্ডন করে কেন্দ্রের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে শিবকুমারকে গ্রেফতার করার সময়ও কংগ্রেসের তরফ থেকে এই গ্রেপ্তারিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই ব্যাখ্যা করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উল্লেখ্য, 2017 সালের আগস্ট মাসে কর্নাটক সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা শিবকুমারের একাধিক ঠিকানায় তদন্ত চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যার পরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দাবি করে যে, শিবকুমারের দিদির বাড়ি থেকে 8.82 কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। যে টাকার কোনোরকম সঠিক হিসাব দিতে পারেনি গ্রেপ্তার হওয়া ওই কংগ্রেস নেতা।

তবে যেহেতু এই তল্লাশির সময় গুজরাটে রাজ্যসভার ভোট চলছিল এবং কংগ্রেসের 43 জন বিধায়ককে ব্যাঙ্গালুরুতে একটি রিসর্টে রেখেছিলেন শিবকুমার এবং সেই থেকেই শিবকুমার গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ইডি, তাই বিরোধীদের তরফ থেকে এটাকে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবেই ব্যাখ্যা করা হয়।

কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, শিবকুমার জামিন পেলেও আদালতের কাছ থেকে এখনও বেকসুর খালাস হয়ে যাননি। একটি নির্দিষ্ট বন্ডের ভিত্তিতে জামিন পেয়েছেন মাত্র। তাই গোটা ব্যাপার নিয়ে কোনরকম সিদ্ধান্তে পৌঁছানো এখনও সম্ভব নয়। তবে নির্বাচনের মরসুমে শিবকুমারের এই জামিন কংগ্রেসের হাতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্রচার সামগ্রী তুলে দিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!