এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > এসে গেছে আশ্বিন মাস! জানেন কি এখন যা দান করবেন তা দ্বিগুন হয়ে ফিরে আসবে আপনার কাছে? কিভাবে?

এসে গেছে আশ্বিন মাস! জানেন কি এখন যা দান করবেন তা দ্বিগুন হয়ে ফিরে আসবে আপনার কাছে? কিভাবে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কাশ ফুলের দোলা, ভোরে শিউলি ফুলের গন্ধ, আকাশে নীল মেঘের আনাগোনা জানিয়ে দেয় আশ্বিন মাস এসে গেছে। আশ্বিন মাসে মা দুর্গার আগমন। প্রকৃতি সেই সাজে আগেই জানান দেয় মায়ের আসার খবর। আশ্বিন মাস মানে ঢাকের আওয়াজ, একগুচ্ছ ভালোলাগা, মন ভালো করা কিছু দিন। আর বছরের এই সময় পৃথিবীতে দেবী দুর্গার আগমন। মায়ের আসায় সারা বছরের সমস্ত কষ্ট, গ্লানি সমস্ত বেদনা ধুয়ে মুছে যায়, মায়ের আগমনেই বাংলার মানুষ আবার নতুন করে কয়েকটা দিন সাজিয়ে নেয়। তবে এ বছরটা কিছুটা অন্যরকম। একে তো করোনা পরিস্থিতি, তাছাড়াও এ বছর আশ্বিন মাস পড়েছে মল মাস। তাই মল মাসে কোন শুভ কাজে যেহেতু হয় না, সেহেতু এই মল মাসে এবার আসছেন না মা দুর্গা। তাকে স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদের আরও একটা মাস।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যে চান্দ্র মাসে সূর্য একটি রাশি থেকে অন্য রাশিতে গমন করে না, বরং মাসজুড়ে একটি নির্দিষ্ট রাশিতেই অবস্থান করে সেই মাসটির নাম পরবর্তী মাসের নাম অনুসারে হয় এবং এর সাথে “অধিক” শব্দটি যুক্ত করা হয়। বাংলায় অধিক মাসকে মলমাস বলে। মলমাসের অন্য নাম পুরুষোত্তম মাস। বলা হয়, ভগবান বিষ্ণু তাঁর নাম অনুসারে এই মাসের নাম দেন। ১২টি হিন্দু মাস মিলে মোট ৩৫৪ দিন হয়। কিন্তু সূর্য সম্পূর্ণ একটি নিরয়ণ রাশিপথ ৩৬৫ ১⁄৪ দিনে সম্পন্ন করে। এর ফলে যে ১১ দিনের ফারাক তৈরি হয়, সেই অতিরিক্ত ১১ দিন প্রতি (২৯.৫৩/১০.৬৩) = ২.৭১ বছরে বা ৩২.৫ মাসে যোগ করে সমতা বিধান করা হয়। আর এই বছর সেই মলমাস পড়েছে আশ্বিন মাস। যেকোনো শুভ কাজের ক্ষেত্রে এই সময়কে সঠিক সময়ে বলে মনে করা হয় না। তবুও এই মাসের বিশেষ কিছু গুণ আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সাধারণত অশ্বিনী নক্ষত্রদ্বয়ের নাম অনুসারে এই মাসের নাম হয় আশ্বিন মাস। বলা হয়, এই আশ্বিন মাসে কোন মানুষ যদি কিছু দান করেন, তবে তা দ্বিগুণ পুণ্যের সঞ্চয় করে। কিছু দান করা জীবনের পরম ধর্ম এবং আমাদের যে চারটি বর্ণ আছে, (ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য এবং শূদ্র) এই চার বর্ণের মধ্যে থেকে প্রথম তিন বর্ণের নিত্যকর্ম হিসাবে দান করা শাস্ত্রমতে সিদ্ধ। তাই এই দানের প্রভাব মানুষের জীবনে কোন শুভ ফল হিসেবেই ফিরে আসে। এছাড়া এর মাধ্যমে ঈশ্বরের কৃপা পাওয়া যায় এবং জাতক-জাতিকার জীবনে সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি আছে বলে মনে করা হয়।

আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের প্রতিপক্ষে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়। যদিও এই দিনটিকে শুভ বলে মনে করা হয়, তবুও এই দিনটি আসলে যে কতটা শুভ সেই নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কারণ এই দিন মর্ত্যে পিতৃপুরুষের আত্মার সমাগম হয় বলে মনে করা হয়। আর এই দিন তাই তাদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করে শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদান করা হয়। এরই সঙ্গে দিনের মাধ্যমে পিতৃ-পুরুষের পক্ষের অবসান এবং দেবী পক্ষের সূচনা হয়। তাই এই দিনে আশ্বিন মাসে তিল বা ঘি দান করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত শুভ দিন। এছাড়াও সারা মাসেই তিল বা ঘি দান করার কথা কথিত রয়েছে।

এছাড়া আশ্বিন মাসে ভগবান বিষ্ণু বা নারায়ণের পুজো করা হলে বিশেষ ফল পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। বিষ্ণুর দশাবতারের কথা জানা যায়। তার মধ্যে থেকে মৎস্য অবতারের কথা জানা যায়। এই মাসে বিষ্ণুর সেই অবতারের পূজা করা হয়। বলা হয়, মচ্ছেগাওঁ নামে একটি স্থানে এই সময় একটি একমাসব্যাপী উৎসবের আয়োজন করা হয়। সাধারণ বিশ্বাস অনুযায়ী, মচ্ছেনারায়ণ-এর জলে এই সময় স্নান করলে সমস্ত পাপমোচন হয়। তবে এই নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে বলেও মনে করেন অনেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!