এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আস্থাভোট ঘিরেও এবার নাটক মধ্যপ্রদেশে, রাজনৈতিক জল্পনা চরমে

আস্থাভোট ঘিরেও এবার নাটক মধ্যপ্রদেশে, রাজনৈতিক জল্পনা চরমে


গত ক’দিন ধরেই মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক মঞ্চে চলছে মহা নাটক। আর সেই নাটকের ইতি টানতে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল লালজী ট্যান্ডন নির্দেশ দিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় আস্থা ভোটের। কে ফিরবে ক্ষমতায়? বিজেপি না কংগ্রেস- তা জানার একমাত্র উপায় হচ্ছে এই মুহূর্তে আস্থা ভোট। অন্যদিকে সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও এর মধ্যেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে আস্থা ভোট করানোর দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু এবার রাজনৈতিক মহলে জোর সমালোচনা মধ্যপ্রদেশের রাজনীতির পরবর্তী চমক ঘিরে।

শোনা যাচ্ছে, সোমবার সম্ভবত আস্থা ভোট হচ্ছে না মধ্যপ্রদেশে। রবিবার রাতের দিকে বিধানসভার পক্ষ থেকে যে কার্যসূচি দেওয়া হয়েছে, তাতে আস্থা ভোটের কোনো উল্লেখ নেই বলেই জানা গেছে। শুধুমাত্র রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছে জানা গেছে রাজ্যপালের প্রথামাফিক ভাষণের পরে। সোমবার বেলা 11 টায় মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। আর এই নিয়েই মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা চলছে, সোমবার সম্ভবত আস্থা ভোট হচ্ছে না।

এই মুহূর্তে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা দাঁড়িয়ে আছে সম্পূর্ণ অংকের উপর ভিত্তি করে। মধ্যপ্রদেশের বিধানসভার ম্যাজিক ফিগার 116। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা হচ্ছে 108। এছাড়াও সপা-বসপার সমর্থন নিয়ে মোট আসন সংখ্যা হচ্ছে 112। কিন্তু তাদের মধ্যে 16 জন আবার ইস্তফা দিয়ে বসে আছেন। যদিও তাদের ইস্তফাপত্র এখনো পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি বলেই জানা গেছে। কিন্তু যদি তাদের ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়,  তাহলে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়াবে 92 তে। আর বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা 106।

bjp,congress

সেক্ষেত্রে ইচ্ছা থাকলেও কংগ্রেস আস্থা ভোট কোনমতেই জিততে পারবে না। বিজেপি তার সহজাত দক্ষতায় খুব সহজেই ক্ষমতা দখল করবে। আর এই ব্যাপারটি অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ কমলনাথ খুব সহজেই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। যে কারণে তিনি বারংবার আস্থাভোটইয়।পিছোবার চেষ্টা করছিলেন। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরো ব্যাপারটাই নির্ভর করছে স্পিকারের ওপর। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ভিত্তিতে যদি মধ্যপ্রদেশের বিধানসভার স্পিকার তৎক্ষণাৎ আস্থাভোটের নির্দেশ দেন তাহলে তা পালন করতেই হবে।

আস্থা ভোট পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও কমলনাথ যে কতটা সফল হবেন, সে বিষয়ে রীতিমতো সন্দেহ রয়ে গেছে। এই মুহূর্তে মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আর একটা টান টান থ্রিলার মুভির মধ্যে কোন ফারাক নেই। এই মুহূর্তে সরকার পড়ার আতঙ্কে ভুগছে কংগ্রেস। আর তাই আস্থা ভোট আটকাতে যেকোনো রকম পদক্ষেপ তাঁরা গ্রহণ করতে পারে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তবে আস্থা ভোট আটকাতে তাঁরা সফল হবে কিনা তা বলতে পারবে সময়। আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!