এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে এবার কি তৃণমূলের সঙ্গে জোট সিপিএমের,প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে জল্পনা

অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে এবার কি তৃণমূলের সঙ্গে জোট সিপিএমের,প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় বলে রাজনীতিতে স্থায়ী মিত্র বা স্থায়ী শত্রু বলে কোনকিছু হয় না। রাজনীতিতে কোনো ফুলস্টপ নেই, সবটাই কমা বা সেমিকোলন। বারবার বাঁকবদল, বারবার পালাবদল হলো রাজনীতির বৈশিষ্ট্য। একসময় যে শত্রু ছিল, আজ সে হয়ে যেতেই পারে পরম মিত্র। এমনটাই হয়তো হতে চলেছে সিপিএম ও তৃণমূলের। যে তৃণমূলের ঝড়ে ক্ষমতা হারিয়েছে সিপিএম, পড়েছে অস্তিত্বের সংকটে। কিন্তু, এবার বিজেপির হাত থেকে রক্ষা পেতে সেই তৃণমূলের সঙ্গেই বন্ধুত্ব করতে পারে সিপিএম। এমন ধরনের জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

এ কথা স্পষ্ট করে না বলেও তিনি জানালেন যে, আগামী দিনে দেশের পরিস্থিতি, ত্রিপুরার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে দল সিদ্ধান্ত নেবে। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ হাতছাড়া হবার পর থেকে সিপিএম শিবিরে শুধু পরাজয় আর পরাজয়। এরপর ত্রিপুরা হাতছাড়া হয়েছে। আর এবার পশ্চিমবঙ্গে একেবারেই বিধায়ক শুন্য অবস্থা সিপিএমের। এদিকে দিনে দিনে শক্তি বাড়ছে বিজেপির। ত্রিপুরাতেও বেশ শক্তিশালী জায়গায় রয়েছে বিজেপি। এদিকে, বিজেপি সরকারকে ফেলে দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে তৃণমূল। এবার, সেখানে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করার ইঙ্গিত রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার কিছুদিন আগে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছিলেন যে, বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে যোগদান করতে যে কোন দলের সঙ্গে জোট বাঁধতে প্রস্তুত সিপিএম। যা থেকে অনেকেই মনে করছেন যে, আগামী লোকসভা নির্বাচনের সময় বিরোধী মহাজোটে অংশগ্রহণ করবে সিপিএম। এই পরিস্থিতিতে মানিক সরকার স্পষ্ট করেছেন যে, ত্রিপুরাতেও বিজেপিকে সরাতে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধতে পারে সিপিএম। এমনিতে সেখানে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে তৃণমূল।

এই অবস্থায় ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, গণতন্ত্রের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তৃণমূল আন্দোলন, সংগ্রাম ও সংগঠন করে থাকে। তৃণমূলকে সংগঠন করতে আগে কখনো এই রাজ্যে বাধা দেওয়া হয়নি। তারা তাদের মত কাজ করেছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। জয় পরাজয় অন্য প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ত্রিপুরাতে তৃণমূলের আসা নতুন কোন ব্যাপার নয়। তাদের মূল শক্তি পশ্চিমবঙ্গ হলেও নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল।

তবে, সমস্ত বামপন্থী নেতা তাঁর এই বক্তব্যকে সমর্থন করেননি। এ প্রসঙ্গে বামপন্থী নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে, ত্রিপুরায় বিজেপি হেরে যাবে বামপন্থীরা জিতে যাবে। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হবার পরেই বামপন্থীদের নির্মূল করে দিতে ত্রিপুরাতে উপস্থিত হয়েছে তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন যে, যে দলের কারণে আর সিপিএম ছন্নছাড়া, সেই দলের সঙ্গেই যদি জোট বাধা হয়, তবে আদর্শের প্রশ্ন উঠে আসতে পারে। কারণ, বামপন্থী মতাদর্শ, দক্ষিণপন্থী মতাদর্শ দুটো সম্পূর্ণ বিরোধী। তবে, এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, সম্পূর্ণ ভিন্ন মতাদর্শে থেকেও যেভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে পেরেছে সিপিএম, সে ক্ষেত্রে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলালো অস্বাভাবিক কোনো ব্যাপার নয়। বস্তুত, অস্তিত্বের সংকট যেখানে, সেখানে আদর্শের প্রশ্ন বাহুল্য ছাড়া আর কেউ কিছুই নয়।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!