প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সামিল হতেন তিনি। কিন্তু সেভাবে প্রত্যক্ষ দিক থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী সাধন পান্ডের কন্যা শ্রেয়া পান্ডে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বাবা যখন হাসপাতালে লড়াই করছেন, ঠিক তখনই মানুষের যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য প্রতি মুহূর্তে জনতা জনার্দনের পাশে থাকতে দেখা যাচ্ছে সাধনবাবুর কন্যাকে। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা থেকে শুরু করে বিপদ-আপদ সমস্ত কিছুতেই স্থানীয় বিধায়ক তথা নিজের পিতার অবর্তমানে মানুষের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছেন তিনি। যার ফলে তৃণমূলের অন্দরমহলে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, আগামী দিনে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ঘাসফুল শিবিরের মুখ হয়ে উঠতে পারেন এই শ্রেয়া পান্ডে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 17 তারিখ থেকে গভীরভাবে অসুস্থ মানিকতলা তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পান্ডে। দিনকে দিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছিল। আর এই পরিস্থিতিতে বাবাকে দেখভাল থেকে শুরু করে বাবার অবর্তমানে যাতে সাধারণ মানুষের কোনো অসুবিধা না হয়, তার জন্য সকলের পাশে পৌঁছে যেতে শুরু করেছিলেন সাধন পান্ডের কন্যা শ্রেয়া পান্ডে। দ্রুত সাধনবাবু যাতে সুস্থ হয়ে ওঠেন, তার জন্য নানা মহলে চলছে প্রার্থনা। তবে বাবার অবর্তমানে যেভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছেন শ্রেয়া পান্ডে, তাতে আগামী দিনে তিনি সরাসরি তৃণমূলের ভোটের রাজনীতিতে নামতে পারেন বলে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

তাহলে কি তিনি রাজনীতিতে আসতে চলেছেন? দাঁড়াতে চলেছেন নির্বাচনে? এদিন এই প্রসঙ্গে কৌশলী জবাব দিয়েছেন সাধন পান্ডের কন্যা শ্রেয়া পান্ডে। তিনি বলেন, “জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই বাবাকে রাজনীতি করতে দেখছি। তাই ছোটবেলা থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি বলা যায়। নানা সময়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। বাবা যখন অসুস্থ হয়েছেন, তখনই তার কাজকর্ম দেখেছি‌। এখন বাবা হাসপাতালে। তাই একজন কর্মীর মতোই তার দায়িত্ব সামাল দিচ্ছি। যাতে বাবা এসে বাড়ি ফিরে দেখেন যে, তার অনুপস্থিতিতে কোনো কাজ আটকে থাকেনি। ছোটবেলায় বাবার ভোটার স্লিপ লেখা থেকে শুরু করে গত বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত আমি কর্মী হিসেবেই কাজ করেছি। এখনও কর্মী হিসেবেই কাজ করতে চাই। দল যদি কোনো দায়িত্ব দেয়, তাহলে অবশ্যই সেই দায়িত্ব পালন করব।”

অর্থাৎ শ্রেয়া পান্ডে যে দলীয় দায়িত্ব পেলে সেই দায়িত্ব পালন করবেন এবং সরাসরি রাজনীতিতে আসতে কিছুটা হলেও ইচ্ছুক, তা তার এই মন্তব্যের মধ্য দিয়েই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে একাংশ মনে করছেন, আগামী দিনে মানিকতলায় তৃণমূলের প্রধান মুখ হতে চলেছেন সাধন পান্ডের কন্যা শ্রেয়া পান্ডে। তবে বাবার অবর্তমানে সাধারণ মানুষের পাশে থাকা থেকে শুরু করে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আগামী দিনে মানিকতলায় পাকাপাকিভাবে তৃণমূলের কোনো পদে অধিষ্ঠিত হন কিনা সাধনবাবুর কন্যা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।