এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বড় খবর! ভ্যাক্সিন নেওয়া ভলান্টিয়ার অসুস্থ! স্থগিত অক্সফোর্ডের করোনা টীকার চূড়ান্ত ট্রায়াল!

বড় খবর! ভ্যাক্সিন নেওয়া ভলান্টিয়ার অসুস্থ! স্থগিত অক্সফোর্ডের করোনা টীকার চূড়ান্ত ট্রায়াল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট করোনা প্রতিরোধে সারাদেশ যখন ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় ছিল, সেই সময় শোনা গিয়েছিল রাশিয়া ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছে এবং সরকারিভাবে সেই ভ্যাকসিন টেস্ট-এর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। আর তখনই তার সঙ্গে পাল্লা দিতে, অক্সফোর্ডের তৈরি আরও একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভালো সাড়া মিলেছিল বলে খবর আসে। এরপরই ভারতে এই টীকা তৈরির লাইসেন্স পায় সেরাম ইনস্টিটিউট। এরপর প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষাও হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সেই সঙ্গে বর্তমানে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ প্রায় সফল হয়েছে বলে খবর রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই উৎপাদনেও অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। কিন্তু সম্প্রতি একটি খবর সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ব্যাপারটা হচ্ছে, গতকাল অ্যাস্ট্রোজেনেকার তরফ থেকে জানানো হয় যে, যাদের শরীরে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছিল তাদের মধ্যে, অপ্রত্যাশিতভাবে একজন ভলান্টিয়ার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের টিকার ট্রায়াল সাময়িকভাবে বন্ধ করা হচ্ছে। সমস্যাটা ঠিক কোথায় হচ্ছে, সেটা জানতে গিয়ে জানা যায়, এই টিকা নেওয়ার পর একজন স্বেচ্ছাসেবক অতিরিক্ত জ্বরে কাবু হয়ে পড়েছেন। আর সেজন্যই নিয়ম অনুযায়ী এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল এই মুহূর্তে পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাদের মতে এটা ট্রায়ালের একটি রুটিন প্রক্রিয়া মাত্র। কোনও স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ট্রায়াল বন্ধ করে দেওয়াটাই নিয়ম। তবে এরপর সংস্থার রিভিউ কমিটি পুনরায় ভ্যাকসিনটির ক্ষতিকর প্রভাব আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে বলেই আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা। সেই রিভিউ এর পর তাঁরা ছাড়পত্র দিলেই আবার ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের কাজ শুরু হবে বলেই তাদের মত। তাঁদের কথায়, অনেক সময় দুর্ঘটনাবশত এই ধরনের অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। তবে একটি ক্ষেত্রেই এমন কেন হল, তা তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। তাই আপাতত ট্রায়ালের কাজ বন্ধ আছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুধু আমেরিকাতেই প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই ভ্যাকসিনটি দেওয়ার কথা ছিল। এছাড়া ভারতেও সেরাম ইন্সটিটিউটের তত্ত্বাবধানে এই ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল ভালই চলছিল। তবে আপাতত সবই এখন বন্ধ রাখা হবে বলে জানা গেছে। যদিও, ভ্যাকসিনের ট্রায়াল এইভাবে সাময়িক বন্ধ রাখাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে তবে ভেষজ কয়েকটি ভ্যাকসিনের ভালোমতো ট্রায়ালের কথাও জানা গিয়েছিল। সেই সঙ্গে হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল, সেরাম ইনস্টিটিউট , জাইদাস ক্যাডিলা, জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস এবং ভারত বায়োটেকের সঙ্গেও কথা বলেছিল কেন্দ্র সরকার। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠে আসছে যে, তাহলে কি এবার সব ছেড়ে দেশের তৈরি ভ্যাকসিনের দিকেই তাকিয়ে থাকবে হবে দেশবাসীকে? নাকি আবারও সব বাঁধা কাটিয়ে শুরু হবে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!