প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাধিক বার অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এরাজ্যে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসন তৎপর বলে অভিযোগ আছে। আবার রাজ্য বিজেপির ৭ জন শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ১৩৮ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, বিজেপি নেতৃত্বকে দুর্বল করে রাখতেই গত দু’বছরে বিশাল সংখ্যক ভুয়ো মামলা দায়ের করা হয়েছে এই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। এবার এই সমস্ত মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তর কিংবা রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা ছাড়া দেশের অন্য কোন তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে এই মামলাগুলোর তদন্ত করার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করতে দেখা গেল বিজেপিকে। হাইকোর্টে এ বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্য বিজেপির রাজ্য বিজেপির কো-কনভেনর অরবিন্দ মেনন।

প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে, বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৯ টি মামলা, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ২৪ টি, বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে ৬টি, সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে সংখ্যাটা ৬৪টি, বিজেপি নেতা পবন সিংয়ের বিরুদ্ধে ৯টি , সৌরভ সিংয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে ১২ টি মামলা। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক থানায় মামলার পাহাড় জমেছে বিজেপির এই একাধিক হেভিওয়েট নেতাদের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি হাইকোর্টে এ বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্য বিজেপির কো-কনভেনর অরবিন্দ মেনন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি নেতাদের দমন করে, বিজেপির অগ্রগতির রোধ করতেই, এভাবে তাদের বিরুদ্ধে এতগুলি মামলা দায়ের করেছে রাজ্য প্রশাসন। বস্তুত, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে বিজেপি। পূর্বে যেখানে রাজ্যে বিজেপির ভোটের পরিমান মাত্র ১ শতাংশ ছিল। সেখানে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ভোট বেড়েছে হলো ১৮ শতাংশ। গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেননের আইনজীবী বিকাশ সিং এ প্রসঙ্গে জানালেন যে, ” সোমবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য উঠতে পারে। আপাতত রাজ্যে চলা সব মামলায় স্থগিতাদেশ চাইব আমরা।”

প্রসঙ্গত রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য পুলিশ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দলদাসের কাজ করে বলেই বারবার অভিযোগ করেছে বিজেপি। বারবার বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশি হেনস্থার ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেবার অভিযোগ উঠেছে। এতগুলি মামলা এই
হেভিয়েটদের নাম থাকায় এ নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে আছেন এই নেতারা। কারণ, যে কোন সময়ে নামতে পারে আদালতের সমন, এবার এই জনস্বার্থ মামলায় আদালত কি সিদ্ধান্ত নেয়? সেদিকে দৃষ্টি সবার।