এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “আট দফায় ভোট পরিকল্পিত” কমিশনকে নজিরবিহীন তোপ হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের!

“আট দফায় ভোট পরিকল্পিত” কমিশনকে নজিরবিহীন তোপ হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সহ আরও চার রাজ্যের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে কমিশন। যেখানে অন্যান্য রাজ্যে সংক্ষেপে নির্বাচন পর্ব সম্পন্ন হলেও, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন আট দফায় হচ্ছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তারপরই গোটা ব্যাপার নিয়ে আপত্তি তুলতে দেখা গেছে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই সুর মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ তথা বিশিষ্ট অভিনেত্রী শতাব্দী রায়কে। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের আট দফায় নির্বাচন অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দাবি করলেন তিনি।

সূত্রের খবর, এদিন পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে একটি রোড শো করেন এই তৃণমূল সাংসদ। আর সেখানেই তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসছে বলে দাবি করেন তিনি। আর তারপরেই আট দফায় নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় তাকে। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “গোটা বিষয়টি পরিকল্পিত। দফা বাড়িয়ে পরিকল্পনা করে ভোট করা হচ্ছে। বাংলার মানুষ তার জবাব দেবেন। রাজনীতির ময়দানে খেলা হবে।” স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল সাংসদের গলায় ভোটের দফা বাড়ানো নিয়ে “পরিকল্পনার” কথা সামনে আসায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, অতীতেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করার পর অনেক ক্ষেত্রেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। পঞ্চায়েত হোক বা লোকসভা, ভোটের নির্ঘণ্ট অপছন্দ হলেই নির্বাচনী ময়দানে তা নিয়ে সরব হতে দেখা যায় ঘাসফুল শিবিরকে। যা নিঃসন্দেহে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। আর এবার 2021 এর যুদ্ধের দামামা বাজার সাথে সাথেই নেত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে গোটা বিষয়টিকে পরিকল্পিত বলে দাবি করে বসলেন শতাব্দী রায়।

তবে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট কমিশনের পক্ষ থেকে ঠিক হলেও, এভাবে গোটা ব্যাপারটিকে “পরিকল্পিত” বলে জনপ্রতিনিধিরা কি প্রমাণ করতে চাইছেন, এখন তা নিয়েই নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। রাজনৈতিক স্বার্থে শুধুমাত্র এই রকম মন্তব্য করে একটি সাংবিধানিক সংস্থাকে কি অপমান করা হচ্ছে না! শতাব্দী রায়ের মন্তব্যের পর এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!